পানিপথ, 28 সেপ্টেম্বর: হরিয়ানার পানিপথ জেলার মাতলাউদা থানা এলাকায় 7 দিন আগে চার মহিলার সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্তরা ৷ প্রায় 800 পুলিশ কর্মী এবং পুলিশের 22টি দল ক্রমাগত এই ঘটনায় অভিযুক্ত দোষীদের খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ কিন্তু এখনও কোনও রকম তথ্য উঠে আসেনি পুলিশের হাতে ৷ পানিপথ, কারনাল, জিন্দ, রোহতক এবং সোনিপাতের পুলিশ কর্মীরা শুরু করেছে তল্লাশি অভিযান ৷ তিনজন আইপিএস এই ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছেন। একই সঙ্গে হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর নিজেও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
পানিপথের এসপি অজিত সিং শেখাওয়াত বলেন, "গণধর্ষণ মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে পুলিশের টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করা হবে।" বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতি উত্তপ্ত। বিরোধী দল সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার কংগ্রেস কর্মীরা প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা করেছে ৷ যাতে বলা হয়েছে, যদি তিন দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ধরা না হয়, তাহলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা এবং সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা পানিপথে ধরনায় বসবেন।
সাত দিন আগে, মাতলোদা থানা এলাকায় এক দল দুষ্কৃতী একটি ক্যাম্প এবং একটি মাছের খামারে লুটপাট চালায় ৷ সেখানে এই ঘটনায় প্রাণ হারান এক মহিলা ৷ অন্যদিকে, স্বামী ও সন্তানের সামনে তিন মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ দুষ্কৃতীরা তলোয়ার ও বন্দুক নিয়ে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছিল এবং রাতভর মহিলাদের গণধর্ষণ করতে থাকে। তাদের এই নৃশংসতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি দু'মাসের এক গর্ভবতী মহিলাও ৷ তাঁকেও দুষ্কৃতীর দল সারা রাত পাশবিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ অন্যদিকে, বর্বরতার শিকার গর্ভবতী মহিলার বুধবার গর্ভপাত হয়েছে। গণধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার গর্ভপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সৎ বাবার ধর্ষণের শিকার হওয়া নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা, কুকর্ম লুকোতে নির্যাতিতাকে খুন!
প্রায় 800 জন পুলিশ কর্মী এবং 22টি পুলিশের দল এই মামলার সমাধানে নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিবেশী থেকে গ্রামবাসী সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। প্রায় 1500 জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনও তথ্য পায়নি বলে জানা গিয়েছে ৷ একই বাইকে চড়ে চার অপরাধী এত বড় অপরাধ করলেও সিসিটিভিতে কোথাও দেখা যায়নি। প্রায় 300 ঘণ্টা সিসিটিভি দেখার পরেও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে, দুষ্কৃতীরা ফোন বন্ধ রাখায় তারপর তাদের ফোন লোকেশনের হদিশ পাওয়া যায়নি ৷