আলওয়ার (রাজস্থান), 28 জুলাই:তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি ৷ তাই তাঁর স্ত্রী অঞ্জু অন্য কারওকে বিয়ে করতে পারেন না ৷ বলছেন রাজস্থানের দুই সন্তানের মা অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ ৷ অঞ্জুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ তবে তিনি আর স্ত্রীকে গ্রহণ করতে চান না ৷ অঞ্জু পাকিস্তানে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তাঁর ফেসবুক বন্ধুকে বিয়ে করেছেন বলে জানা গিয়েছে ।
অঞ্জুর স্বামী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, "তিনি (অঞ্জু) বলেছিলেন যে, তিনি তিন বছর আগে দিল্লিতে বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন ৷ কিন্তু আমি কখনওই আদালত থেকে কোনও সমন পাইনি । আইনত তিনি এখনও আমার স্ত্রী এবং তিনি অন্য কারওকে বিয়ে করতে পারেন না । আমি অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব ৷"
'অঞ্জুকে আর মেনে নেব না': অঞ্জু ভারতে ফিরে আসার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ । তিনি আরও বলেন, "আমি এখন আর অঞ্জুকে মেনে নেব না, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আমার সন্তানরা । কিন্তু এই মুহূর্তে আমার সন্তানেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতেও চায় না ।"
আরও পড়ুন:ইসলাম গ্রহণ করে অঞ্জু এখন ফতিমা, বিয়ে করলেন পাকিস্তানি ফেসবুক বন্ধুকে
'নথির তদন্ত হোক': সরকারের অঞ্জুর পাসপোর্ট ও ভিসার নথি তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন তাঁর স্বামী ৷ কারণ তাঁর বিশ্বাস, অঞ্জু পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য জাল নথি ও স্বাক্ষর ব্যবহার করতে পারেন । নাসরুল্লাহর সঙ্গে 'নিকাহ' করার পর অঞ্জুর সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন অরবিন্দ ।
সংবাদমাধ্যমকে অরবিন্দ আরও বলেন, "ভারত সরকারকে অবশ্যই তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা বাজেয়াপ্ত করতে হবে । তিনি আমাকে কখনওই ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে জানাননি । এমনকী, আমি কখনও কোনও পাসপোর্ট অফিসে যাইনি । তাই কীভাবে তিনি তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা পেয়েছেন তার তদন্ত করতে হবে ।"
সন্তানরা তাঁর সঙ্গেই থাকবেন বলে জানিয়ে অরবিন্দ বলেন, "কাজের কারণে অঞ্জু মাঝে মাঝে টেনশন করত, এমনকী আমার সঙ্গে মারামারিও করত, কিন্তু আমি কখনওই ভাবিনি যে ও এই কাজ করবে ।"
'ভালো মা ছিলেন অঞ্জু': অঞ্জু ও অরবিন্দের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়েছিল ৷ অরবিন্দের কথায়, অঞ্জু একজন ভালো মা ছিলেন ৷ বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভালো থাকতেন ৷ কিন্তু এখন শিশুরা তাঁকে মানতে চায় না । তিনি বলেন, ছোটখাটো বিষয়েও মিথ্যা বলার অভ্যেস ছিল অঞ্জুর । তিনি বাড়িতে দেরি করে আসতেন ৷ আর এ বার তিনি জাল উপায়ে ভ্রমণের নথিও তৈরি করেন ।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে গিয়েও চিন্তায় অঞ্জু, বিয়ে করার পরিকল্পনা নেই দাবি ফেসবুক বন্ধুর
'পরিবারের কাছে অঞ্জু মৃত': অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাসও তাঁর মেয়ের কর্মকাণ্ডে দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন যে, অঞ্জু পরিবারের কাছে মৃত ৷ তাঁকে এখন পাকিস্তানেই থাকতে হবে ।
ফেসবুকের বন্ধুকে নিকাহ: 34 বছর বয়সি ভারতীয় মহিলা তাঁর ফেসবুক বন্ধু নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করার জন্য বৈধভাবে পাকিস্তানে যান ৷ 2019 সালে তাঁদের বন্ধুত্ব হয় ৷ অঞ্জুর পাকিস্তানে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে, তিনি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বলেন, "আমি এখানে আইনগতভাবে পরিকল্পনা নিয়ে এসেছি । আমি এখানে কয়েকদিন থাকব এবং শীঘ্রই ভারতে ফিরে আসব । আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি না করার জন্য আমি সকল গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করছি ।" এরপরই ইসলাম গ্রহণ করে অঞ্জু হয়ে যান ফতিমা এবং তিনি নাসারুল্লাহকে নিকাহ করেন ৷