বারাণসী, 31 জানুয়ারি:বারাণসী লাগোয়া গঙ্গার গতিপথে স্বচ্ছতা বাড়ছে নদীর জলের৷ বাড়ছে জলে অক্সিজেনের মাত্রাও৷ এমনটাই দাবি উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের৷ তাদের মতে, মোদি সরকারের লাগাতার প্রয়াসেই গঙ্গায় দূষণ কিছুটা হলেও বাগে আনা সম্ভব হয়েছে৷
সম্প্রতি, গঙ্গার জলের নমুনা সংগ্রহ করে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ৷ সেই নমুনা পরীক্ষা করেই আশার কথা শুনিয়েছে তারা৷ পর্ষদের দাবি, মির্জাপুর ও বারাণসীর মাঝের এলাকায় অনেকটাই উন্নত হয়েছে গঙ্গার জলের মান৷
সূত্রের খবর, এই এলাকায় প্রায় 30টি নিকাশিনালা রয়েছে৷ যার মাধ্য়মে নোংরা জল জল সরাসরি গঙ্গায় পড়ে৷ কিন্তু বর্তমানে সেগুলি নদীতে ফেলার আগে পরিশ্রুত করা হচ্ছে৷ আর তাতেই কমেছে দূষণ৷
উচ্চ গতিতে বারাণসীর নাগওয়াতে গঙ্গার জলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে 9 মিলিগ্রাম ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ নিচু এলাকায় পরিমাণটা 8.2 থেকে 8.5 মিলিগ্রাম৷ যা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বচ্ছ বলে দাবি বোর্ডের আঞ্চলিক আধিকারিক কলিকা সিংয়ের৷
প্রসঙ্গত, নাগওয়া থেকেই বারাণসীতে প্রবেশ করেছে গঙ্গা৷ নিম্ন অববাহিকায় বরুণা সঙ্গম থেকে গাজিপুর হয়ে বালিয়া পর্যন্ত বয়ে গিয়েছে ভারতের দীর্ঘতম এই নদী৷ পর্ষদের দাবি, একাধিক নিকাশিনালা বন্ধ করে দেওয়ায় বরুণাতেও গঙ্গার জলের মান উন্নত হয়েছে৷ দৈনিক সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিশেষজ্ঞরা৷
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, আগে মির্জাপুর, গাজিপুর এবং বালিয়া থেকে 30টি নিকাশিনালার দূষিত জল সরাসরি পড়ত গঙ্গায়৷ এখন তার মধ্য়েই 19টিরই জল পরিশ্রুত করে তবে গঙ্গায় ফেলা হয়৷ আরও ছ’টি নিকাশিনালার জল পরিশ্রুত করার জন্যও এই মুহূর্তে কাজ চলছে৷ নিকাশিনালা পরিশ্রুত করাতেই গঙ্গার জলে অক্সিজেনের মাত্রা লাগাতার বাড়ছে৷ যা জলজ বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে সহায়ক৷
আরও পড়ুন:দেশে মাত্রাছাড়া জল-দূষণ, সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনও নদী বা হ্রদে অক্সিজেনের মাত্রা সবসময়েই 6 মিলিগ্রাম বা তার বেশি থাকা উচিত৷ তা না হলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে৷ গঙ্গার অবস্থা অবশ্য এখন তার তুলনায় অনেকটাই ভালো বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের৷