পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Nov 2, 2022, 7:57 PM IST

ETV Bharat / bharat

Morbi Bridge Collapse: মৃত্যুমিছিলে হাহাকার, মোরবি বিপর্যয়ের দায় 'ঈশ্বরে'র ঘাড়ে চাপালেন অভিযুক্ত সংস্থার ম্যানেজার

ইতিপূর্বে সেতু সংস্কার কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই মোরবি সেতুর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল ওরেভা ৷ এবার সংস্থার ম্যানেজারের দাবি, ঈশ্বরের ইচ্ছেতেই এই বিপর্যয় নেমে এসেছে মোরবিতে (Morbi bridge collapse is an Act of God in Court) ।

Etv Bharat
Etv Bharat

আমেদাবাদ, 2 নভেম্বর:ঈশ্বরের ইচ্ছা, সেই কারণেই মোরবির সেতু বিপর্যয় । আদালতে গিয়ে এমনটাই জানালেন ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার । ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতার হওয়া 9 জনের মধ্যে রয়েছেন ওরেভা-র একাধিক আধিকারিক, টিকিট বিক্রেতা থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ৷ ম্যানেজার দীপক পারেখ বিচারককে বলেন, "এই ঘটনা ভগবানের ইচ্ছেতেই হয়েছে (Morbi bridge collapse is an Act of God in Court) ।"

প্রসঙ্গত, ‘ওরেভা’ আদপে একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা। মার্চ মাসে মোরবী পুরসভার সঙ্গে সেতু সংস্কারের চুক্তি করেছিল এই সংস্থা। প্রশ্ন উঠেছে, একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কী করে সেতু সংস্কারের বরাত দিল প্রশাসন ? ইতিপূর্বে সেতু সংস্কার কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই মোরবি সেতুর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল সংস্থাটি ৷ আট থেকে বারো মাসের মধ্যে পরিত্যক্ত সেতুটি পুনরায় চালু করে দেওয়ার বিষয়টি উল্লিখিত রয়েছে সেখানে ৷ ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়ার কারণ অজানা, কিন্তু চুক্তির সাত মাসের মধ্যে অর্থাৎ সময়ের আগেই প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো এই সেতু পুনরায় খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য (Morbi Bridge Collapse) ৷

মর্মান্তিক বিপর্যয়ের পর সিএফএল বাল্ব, দেওয়াল ঘড়ি তৈরি করা সংস্থাটির তরফে প্রাথমিকভাবে কোনও প্রতিনিধি মুখ খোলেননি ৷ তবে মোরবি পৌরসভার তরফে এক আধিকারিক চাপের মুখে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, কোনওরকম ফিট সার্টিফিকে না-নিয়েই পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি ৷ মোরবি পৌরসভার চিফ অফিসার সন্দীপ সিং ঝালা ইটিভি ভারতকে বলেন, "সংস্থাটিকে 15 বছরের জন্য সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ সংস্কারের পর ফের খুলে দেওয়াও হয়েছিল ৷ কিন্তু কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা অজানা ৷ সেতু সংস্কারে কী ব্যবহার করা হয়েছিল তারও উত্তর নেই ৷"

আরও পড়ুন: গুজরাতের সেতু বিপর্যয়ে মর্মাহত বিশ্ব, শোকবার্তা পুতিন-দেউবার

অন্যদিকে ফিট সার্টিফিকেট ছাড়া 230 মিটার লম্বা এই ঐতিহাসিক সেতু সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ায় হতবাক গুজরাত ইনস্টিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস-এর সভাপতি বৎসল প্যাটেল ৷ পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঝুলন্ত মোরবি সেতুতে সর্বাধিক 100 জনের উপস্থিত থাকার বন্দোবস্ত থাকলেও দুর্ঘটনার মুহূর্তে সেতুতে দাঁড়িয়েছিলেন অন্ততপক্ষে 400 জন ৷ এটাও মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে ৷নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একসঙ্গে এত মানুষ দুর্ঘটনার সময় সেতুটিতে ছিলেন ? উত্তর অজানা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details