কলকাতা, 8 নভেম্বর: দেশভাগের শিকার হিন্দু এবং শিখরা ৷ সেজন্য আইন প্রণয়ন করে তাঁদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়ার একটা প্রয়াস হয়েছে ৷ মঙ্গলবার গুজরাতে হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi Remarks on Sikhs Citizenship) ৷ তাঁর সেই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল বিরোধী শিবির ৷ তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব গ্রহণযোগ্য নয় (Opposition Leaders Critisises PM Narendra Modi) ৷ এনিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘চলতি ব্যবস্থার মধ্যেই নাগরিকত্ব দানের অধিকার রয়েছে ৷ সেই জায়গায় নতুন করে এটা নিয়ে একটা ভেদাভেদ মূলক পদক্ষেপে আরও ক্ষতি হবে ৷’’
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশের বিষয়টি সীমান্তে দেখার কথা বিএসএফ-এর ৷ এই বিষয়টা পুরোপুরি মোদি এবং অমিত শাহের দফতরের হাতে রয়েছে ৷ আপনারা অনুপ্রবেশ ঠেকান ৷ কিন্তু নাগরিকত্ব নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না ৷ যারা ইতিমধ্যেই নাগরিক তাঁদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে ভোটের রাজনীতি করাটা কিন্তু কোনও অবস্থায় কাম্য নয় ৷ এটা বাংলার মাটি হতে দেবে না ৷’’
নাগরিকত্ব প্রদান ও অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘ধর্মীয় কারণে নাগরিকত্ব ৷ আমরা সবাইকে দেব, শুধুমাত্র মুসলিমদের দেব না ৷ এটা ভারতীয় সংবিধান কখনই অনুমতি দেয় না ৷ টার্গেটেড রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ, কিছু সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে, আর কিছু সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে এই ধরনের আইন যতটুকু দেখেছি ভারতে অন্তত বৈধ নয় ৷ ভারতের মানুষ তাঁরা হিন্দু হোক, মুসলিম হোক, শিখ বা খ্রিস্টান হোক সবাই নাগরিক ৷ বাইরে থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হোক ৷ গুজরাতে ধুঁয়ো দিয়ে বাজার গরম করা হচ্ছে ৷’’