পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Opposition on Narendra Modi: নাগরিকত্ব নিয়ে ধর্মীয় ভেদাভেদ, মোদির ‘শিখ বঞ্চনা’ মন্তব্যের সমালোচনা বিরোধীদের

গুরুনানকের জন্মতিথিতে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে অবিচারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi Remarks on Sikhs Citizenship) ৷ অভিযোগ করেছেন, দেশভাগের শিকার হয়েছেন শিখরা ৷ যা নিয়ে এ বার সরব হল বিরোধী দলগুলি (Opposition Leaders Critisises PM Narendra Modi) ৷ পাল্টা প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদের অভিযোগে সরব হল, তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা ৷

opposition-leaders-critisises-pm-narendra-modi-remarks-on-sikhs-citizenship
opposition-leaders-critisises-pm-narendra-modi-remarks-on-sikhs-citizenship

By

Published : Nov 8, 2022, 3:15 PM IST

কলকাতা, 8 নভেম্বর: দেশভাগের শিকার হিন্দু এবং শিখরা ৷ সেজন্য আইন প্রণয়ন করে তাঁদের নাগরিকত্ব (CAA) দেওয়ার একটা প্রয়াস হয়েছে ৷ মঙ্গলবার গুজরাতে হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi Remarks on Sikhs Citizenship) ৷ তাঁর সেই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল বিরোধী শিবির ৷ তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব গ্রহণযোগ্য নয় (Opposition Leaders Critisises PM Narendra Modi) ৷ এনিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘চলতি ব্যবস্থার মধ্যেই নাগরিকত্ব দানের অধিকার রয়েছে ৷ সেই জায়গায় নতুন করে এটা নিয়ে একটা ভেদাভেদ মূলক পদক্ষেপে আরও ক্ষতি হবে ৷’’

পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বক্তব্যের জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশের বিষয়টি সীমান্তে দেখার কথা বিএসএফ-এর ৷ এই বিষয়টা পুরোপুরি মোদি এবং অমিত শাহের দফতরের হাতে রয়েছে ৷ আপনারা অনুপ্রবেশ ঠেকান ৷ কিন্তু নাগরিকত্ব নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না ৷ যারা ইতিমধ্যেই নাগরিক তাঁদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে ভোটের রাজনীতি করাটা কিন্তু কোনও অবস্থায় কাম্য নয় ৷ এটা বাংলার মাটি হতে দেবে না ৷’’

নাগরিকত্ব প্রদান ও অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘ধর্মীয় কারণে নাগরিকত্ব ৷ আমরা সবাইকে দেব, শুধুমাত্র মুসলিমদের দেব না ৷ এটা ভারতীয় সংবিধান কখনই অনুমতি দেয় না ৷ টার্গেটেড রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ, কিছু সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে, আর কিছু সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে এই ধরনের আইন যতটুকু দেখেছি ভারতে অন্তত বৈধ নয় ৷ ভারতের মানুষ তাঁরা হিন্দু হোক, মুসলিম হোক, শিখ বা খ্রিস্টান হোক সবাই নাগরিক ৷ বাইরে থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দেওয়া হোক ৷ গুজরাতে ধুঁয়ো দিয়ে বাজার গরম করা হচ্ছে ৷’’

অন্যদিকে, সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘75 বছর আগে যাঁরা ভারতে এসেছিলেন, তাঁরা যে দুর্ভোগের মধ্যে আছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ কিন্তু, প্রশ্নটা এখানে তাঁদের এই অবস্থার মধ্যে রাখল কে ? সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী নাগরিকদের শুধুমাত্র ভোটদানের অধিকার রয়েছে ৷ যাঁরা ভোট দেন, ভোটে দাঁড়ান, ভোটে জিতে মন্ত্রী হন, তাঁরাও তো নাগরিক ৷ এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের উদ্বাস্তু করে দিয়ে আবার নাগরিকত্ব দিচ্ছেন ৷ তাতে দেশের উদ্বাস্তু মানুষজনের জন্য এটা যেন কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিঁটে ৷’’

আরও পড়ুন:গুরু নানক দেবের জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা মোদির

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা দীর্ঘদিনের রক্তাক্ত ইতিহাস ৷ পূর্ববর্তী সরকারের প্রতারণা এবং বঞ্চনার ইতিহাস, অত্যাচারের ইতিহাস ৷ এক্ষেত্রে যাঁরা ধর্মীয় কারণে আমাদের দেশে চলে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে বদ্ধপরিকর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ মানুষজন আসছেন ৷ তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ৷ এটাই আমাদের বক্তব্য ৷ আমরা কাউকে দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলছি না ৷’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details