নয়াদিল্লি, 9 সেপ্টেম্বর:দিল্লিতে চলমান জি20 সম্মেলনে শনিবার সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্র ৷ সংশয় উড়িয়ে এই ঘোষণাপত্রে স্থান পেয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ ৷ এই ঘোষণাপত্রে ইউক্রনের প্রসঙ্গ আদৌ রাখা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহলে ৷ বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যোগ না-দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ৷ তবে শনিবার যে নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্রের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন তাতে সর্বসম্মতিক্রমে স্থান পেয়েছে ইউক্রেন প্রসঙ্গ ৷ পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জি20 তে ভারতের শেরপা অমিতাভ কান্ত ৷
এই ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান যুগ যুদ্ধের জন্য নয় ৷ সব দেশকেই আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে ৷ যে কোনও বিবাদের শান্তিপূর্ণ, কূটনৈতিক ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজার কথা বলা হয়েছে এই ঘোষণাপত্রে ৷ গত বছর বালিতে অনুষ্ঠিত জি20 সম্মেলনেও ইউক্রেন সমস্যার কথা তোলা হয়েছিল ৷ সেই বিষয়টি উল্লেখ করে এই ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, "ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে বালিতে যে আলোচনা হয়েছিল সম্মেলনের প্রতিটি দেশ তাতেই ফের সম্মতি জানাচ্ছে এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ সভায় ইউএন চার্টার (রাষ্ট্রসংঘের সনদ) মেনে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল তা মেনে চলার পক্ষে সকলে ৷" উল্লেখ্য রাষ্ট্রসংঘের সনদে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতি, সার্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে অমান্য করে কোনও দেশ অন্য কোনও দেশের উপর আক্রমণ চালানো বা হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকবে ৷ পরমণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয় বলেও নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
কেন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলা হল এই ঘোষণাপত্রে? সেই ব্যাখ্যাও রয়েছে নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্রে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, জি20 মূলত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমস্যা সমাধানের মঞ্চ ৷ এক্ষেত্রে এটি নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মঞ্চ না-হলেও ইউক্রেনের মতো সমস্যা যে বিশ্ব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে, তাই এই ঘোষণাপত্রে এই বিষয়টিরও উল্লেখ করা হয়েছে ৷