পুরী, 17 জানুয়ারি: পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিক্রমা প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ৷ পুরীর রাজা গজপতি দিব্যসিংহ দেবও বুধবার মন্দির পরিক্রমা প্রকল্পের বিশেষ আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। শ্রীমন্দির পরিক্রমা প্রকল্পের লক্ষ্য হল আইকনিক জগন্নাথ মন্দির এবং তার আশেপাশের পরিবেশকে উন্নত করা। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পাঁচ দিন আগে এই জগন্নাথ হেরিটেজ করিডর উদ্বোধন হল ৷
এদিন জগন্নাথ হেরিটেজ করিডরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মন্দিরের চারপাশ প্রদক্ষিণও করেন ৷ শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (এসজেটিএ) মুখ্য প্রশাসক রঞ্জন কুমার দাস বলেন, "এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ নির্ধারিত স্থানে আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সংবর্ধনাও দেন। এরপর বিকেল তিনটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।"
একইসঙ্গে তিনি জানান, বিকাল তিনটের পরে পরিক্রমার জন্য জনসাধারণকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। পুরীর জেলা কালেক্টর সমর্থ ভার্মা জানান, সমস্ত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই তৈরি রয়েছে ৷ তাঁর দাবি, পরিক্রমা প্রকল্পটি সম্পূর্ণ উদ্বোধনের পরে জনসাধারণের দেখার জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ৷ ইতিমধ্যে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে ভক্তরা ভগবান জগন্নাথ মন্দিরে 'দর্শনের' জন্য শ্রী মন্দিরে ভিড় করেছিলেন। সুষ্ঠুভাবে দর্শনের জন্য সব ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান মন্দির প্রশাসক।
একইসঙ্গে, দর্শনে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য শ্রী মার্গ, শ্রী সেতু এবং জগন্নাথ বল্লভ পার্কিং সেন্টার চালু করা হয়েছে বলেও জানান জেলা কালেক্টর ৷ জগন্নাথ 'দর্শন' ইতিমধ্যেই সুষ্ঠুভাবে চলছে বলেও জানান তিনি। জগন্নাথ দর্শন ও মহাপ্রসাদ নিতে মানুষের কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। পরিক্রমার জন্য জনসাধারণের জন্য এদিন থেকে তা উন্মুক্ত থাকবে ৷ মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুরী পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল (আইজি) আশিস কুমার সিং বলেন, "আমরা যে সমস্ত পুলিশি ব্যবস্থার পরিকল্পনা করেছিলাম, তা বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন অতিথি, দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ে এসে অডিটোরিয়ামে বসানো হচ্ছে। অতিথিদের কেউ যদি দর্শন করতে চান তাহলে সেই সুবিধাও আমরা করে দিচ্ছি ৷" তাঁর কথা, "সাধারণ ভক্তরাও স্বাভাবিক নিয়মে দর্শন করছেন ৷ আনুমানিক 1000-1200 অতিথির জায়গা করা হয়েছে ৷ যখন শোভাযাত্রা শুরু হবে তখন মাত্র 20 থেকে 25 মিনিটের বিরতি থাকবে ৷"
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ হেরিটেজ করিডোর প্রকল্পটি ওড়িশা ব্রিজ অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন তৈরি করেছে। এরপর এর রক্ষণাবেক্ষনের জন্য শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঐতিহ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পার্কিং স্থান, শ্রী সেতু, তীর্থযাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে নতুন রাস্তা, শৌচালয়, ঘড়ির ঘর এবং অন্যান্য দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন বিষয় ৷ (এএনআই)
আরও পড়ুন:
- রামলালা খাবেন 1265 কেজি'র লাড্ডু, নিজামের শহর থেকে যাচ্ছে রামরাজ্যে
- হাতে আর 6 দিন, মন্দিরের গর্ভগৃহে বেদীর আনুষ্ঠানিক পুজো অযোধ্যায়
- মুদ্রা থেকে লক্ষ্মীর ছবি সরান আকবর, তিনিই আবার প্রচলন করেন ‘রাম টাকা’