এর্নাকুলাম(কেরল), 14 সেপ্টেম্বর: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাড়ি এসে নার্সিং পড়ুয়াকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এক যুবক ৷ গত আট দিন ভেন্টিলেটরে থাকার পর হাসপাতালে মৃত্যু হল 19 বছর বয়সি ওই তরুণীর ৷ ঘটনায় জখম দাদু ও ঠাকুমাও ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের এর্নাকুলাম জেলার পেরুম্বাভুর শহরে ৷ অভিযুক্তের নাম বাসিল ৷ পরে আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত ৷
জানা গিয়েছে, রায়মঙ্গলম এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী নার্সিংয়ের ছাত্রী ৷ তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল বাসিল ৷ কিন্তু তরুণী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরিবার জানিয়েছে, তরুণীর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল বাসিলের ৷ তবে তাঁর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দেন ৷ এরপরেও বাসিল তাঁকে বিরক্ত করতে থাকে ৷ প্রায়শই কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত পিছু নিত ৷ বারেবার ফোনও করত ৷ এর জেরে তরুণী তাঁর মোবাইল নম্বরটিও বদলে নেন ৷ তারপরও হয়রানির হাত থেকে রেহাই মেলেনি ৷
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বারবারের এই প্রত্যাখান সহ্য করতে না পেরে হামলা চালায় বাসিল ৷ তরুণীর বাড়িতে প্রবেশ করে ছুড়ি দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে ৷ পাশাপাশি ঠাকুমা ও দাদু তরুণীকে বাঁচাতে এলে বাসিল তাঁদের উপরও হামলা চলে ৷ এরপর ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যান যুবক ৷ পরে নিজের ঘর থেকে বাসিলের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷
আরও পড়ুন:প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কিশোরীকে খুন, ধৃত প্রতিবেশী যুবক
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তরুণীকে আলুভার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রাজাগিরি হাসপাতালে ৷ সেখানে গত আট দিন ধরে সার্জিক্যাল আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে ছিলেন। শেষমেশ মৃত্যুর কাছে তাঁকে হারতে হল ৷ মাথায় গুরুতর আঘাত, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং নিউমোনিয়ার জেরেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। দাদু ও ঠাকুমার আঘাত গুরুতর ছিল না ৷ পেরুম্বাভুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁদের।