নয়াদিল্লি, 24 নভেম্বর: কী চলছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্দরে ? এবার থেকে তা অতি সহজেই জানতে পারবে আমজনতা ৷ বৃহস্পতিবার (24 নভেম্বর, 2022) থেকেই কার্যকর করা হল তেমন ব্যবস্থা ৷ জানালেন দেশের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud) ৷ সিজেআই (CJI) বলেন, এবার থেকে একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে তথ্য জানার অধিকার (Right to Information Act 2005) বা আরটিআই (RTI) আইন প্রয়োগ করতে পারবেন নাগরিকরা ৷ নয়া ব্যবস্থায় আইনত শীর্ষ আদালত সম্পর্কে তথ্যতলাশ করতে পারবেন তাঁরা ৷
এতদিন পর্যন্ত শীর্ষ আদালত সংক্রান্ত কোনও তথ্য আরটিআই-এর মাধ্যমে পেতে হলে আবেদনকারীকে সেই আবেদনপত্র ডাক বিভাগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হত ৷ সেটি সময়সাপেক্ষ । তাছাড়া আবেদনকারী যদি প্রবীণ বা অসুস্থ হন, তাহলে তাঁর পক্ষে তা ঝক্কিরও বটে ৷ এই অবস্থায় অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আরটিআই পাঠানো এবং গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ আমজনতার সুবিধার্থেই এই পদক্ষেপ করা হয় ৷
আরও পড়ুন:জোর করে ধর্মান্তকরণ অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট ই-কমিটিরও চেয়ারম্য়ান ৷ এই কমিটির কাজ হল, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology) বা আইসিটি (ICT)-কে গ্রহণ করা ৷ সংশ্লিষ্ট সকলেই যাতে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সহজেই তাঁদের হাতে পান, তা নিশ্চিত করাও এই কমিটির অন্যতম প্রধান কর্তব্য হিসাবে বিবেচিত হয় ৷
চলতি মাসের শুরুতেই শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট পোর্টালটি ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ৷ ইতিমধ্যে আইনের দুই পড়ুয়া একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) রুজু করেন ৷ তাতে অনলাইন আরটিআই আবেদন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় ৷ পোর্টালে অনলাইন আরটিআই আবেদন করার প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাওয়ায় শীর্ষ আদালত সেটিরও নিষ্পত্তি করার কাজ শুরু করেছে ৷ সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ মামলায় ওই দুই পড়ুয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল, ই-কমিটি যে ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে, তার মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করা যায় ৷ কিন্তু, আরটিআই আবেদন করা যায় না ৷ এবার সেই সমস্যাও মিটল ৷
প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের কার্যাবলীকে আরটিআই-এর আওতায় আনার প্রসঙ্গে 2019 সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, "ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আদতে একটি 'সরকারি কর্তৃপক্ষ' (Public Authority) ৷ প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং বিচারপতিদের দফতরকেও অবশ্যই এর আওতায় আনা উচিত ৷ সংবিধানের 124 নম্বর ধারা অনুসারে এই পদক্ষেপ করা উচিত ৷"