নিউদিল্লি, 10 এপ্রিল : ভ্যাকসিন উৎপাদন কোনও 'রকেট সায়েন্স' নয়, সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানালেন এআইআইএমস-এর প্রধান রণদীব গুলেরিয়া ৷ গত চারদিন ধরে প্রতি 24 ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে এক লক্ষ, আর আজ সকালে তা প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছেছে ৷ অ্য়াকটিভ কেসের সংখ্যা দশ লক্ষ পার করেছে ৷ অতিমারি শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রের অবস্থার অবনতি হয়েছে গত কয়েক দিনে ৷ এর পর রয়েছে মধ্য়প্রদেশ, গুজরাত, কেরালা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, পশ্চিমবঙ্গ ৷ কিন্তু এই সময়েই দেশজুড়ে ভ্য়াকসিনের হাহাকার শুরু হয়েছে ৷ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেন্দ্রের কাছে ভ্য়াকসিনে টান পড়ার কথা জানানো হলে উল্টে রাজ্য়গুলিকেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি পজিটিভ কেসের সংখ্য়া বাড়লেও রাজ্যকে দুশ্চিন্তা না করার উপদেশ দিয়েছেন ৷
ভারতে এই ভ্য়াকসিন-বিতর্ক নিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্য়াকসিন উৎপাদন সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট-এর আদার পুনেওয়ালা ক'দিন আগেই পরিস্থিতিকে 'সঙ্কটজনক' বলে চিহ্নিত করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন এই সংস্থা প্রায় 20 লক্ষ আর মাসে 6 কোটি থেকে সাড়ে 6 কোটি কোভিশিল্ড উৎপাদন করতে সক্ষম ৷ অথচ লক্ষ্য়মাত্রা 10 থেকে 11 কোটি ৷ তাই এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে দরকার তিন হাজার কোটি টাকা আর তিন মাস ৷ এ নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন আদার ৷
আরও পড়ুন: কোচবিহারে ঘটনা দুঃখজনক, দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক কমিশন : মোদি