গুয়াহাটি, 26 জুলাই:রাজ্য সরকার বা মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট(এমএনএফ) কেউই কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে ভয় পায় না । সোমবার এমনটাই বললেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ৷ মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের চেয়ারম্যান গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, "এমএনএফ বিজেপির জোট সঙ্গী ৷ এর মানে এটা কখনই নয় যে 'মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট' এনডিএ-র নীতি ও আদর্শগুলিকে সমর্থন করবে ।"
এ দিন আইজলের হানাম রণে অর্থাৎ এমএনএফ কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা বলেন, " বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ বা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন 'ইন্ডিয়া' নামে জোট ৷ আমরা এনডিএ'র সঙ্গে আছি ৷ তবে আমরা এনডিএ-র নীতি ও আদর্শগুলিকে সমর্থন করি না ৷"
এমএনএফ দল বিজেপিকে ভয় পায় না ৷ মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার মিজোরাম সরকারকে মায়ানমার থেকে আসা সমস্ত শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার তা করতে অস্বীকার করেছে । তিনি বলেন, "আমি বিধানসভায় ঘোষণা করেছি যে আমরা মায়ানমারের উদ্বাস্তুদের বিতাড়িত করব না ৷ বরং তাদের আশ্রয় ও খাবার দেব । মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং বিজেপি একসঙ্গে উন্নয়নের জন্য কাজ করছে । কিন্তু বিজেপি যা বলবে তাই মেনে নেব না ।"
জোরামথাঙ্গা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে মনে করিয়ে দেন, মণিপুর থেকে শরণার্থীরা মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে ৷ এই সমস্ত শরণার্থীদের ত্রাণের জন্য কেন্দ্রের কাছে তহবিল চাওয়া হয়েছিল ৷ তবে সেই তহবিল এখনও এসে পৌঁছয়নি । জোরামথাঙ্গা বলেন, "কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য আমি বলেছিলাম যে ভারত সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুদের যত্ন নিয়েছে ৷ যারা 1971 সালে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল ।"
আরও পড়ুন:অশান্ত মণিপুর! প্রায় 8 হাজার বাসিন্দার ভিড় মিজোরামে
এর আগে 4 জুলাই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ল কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন ৷ তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি সাধারণত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং মিজোদের স্বার্থের বিরোধী । জোরামথাঙ্গা বলেন, "মিজোদের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশীলন সংবিধানের 371 (জি) অনুচ্ছেদ দ্বারা সুরক্ষিত ৷ দলের মতে আমাদের প্রথাগত আইনের সঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধ স্পষ্ট ।" তিনি জানান, এমএনএফ ছাড়া অন্য কোনও দল এনডিএ'র বৈঠকে প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সাহস করে এগিয়ে এসে আপত্তি জানায়নি ৷ কারণ তাদের বেশিরভাগই কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় । "আমরা মোদির সঙ্গে থাকলেও মোদিকে ভয় পাই না", সাফ জানালেন জোরামথাঙ্গা ।