নয়াদিল্লি, 4 ডিসেম্বর:দেশের পোস্ট অফিসগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কোনও বিধান নেই, পোস্ট অফিসগুলি বেসরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই ৷ সোমবার রাজ্যসভায় পোস্ট অফিস বিল 2023 নিয়ে আলোচনার সময় এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণব ৷ এদিন তিনি বলেন, "এই নয়া বিলের উদ্দেশ্য হল পোস্ট অফিসের কার্য পরিধি আরও বাড়ানো ৷" নরেন্দ্র মোদি জমানায় যে দেশে বহু নতুন পোস্ট অফিস তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বৈষ্ণব ৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, "গত সাড়ে 9 বছরে ডাক পরিষেবা, পোস্ট অফিসকে পরিষেবা প্রদানকারী এক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যা আগে শুধু চিঠি পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা হতো ৷ কোনও কোনও সাংসদ অভিযোগ করছেন যে, ডাক বিভাগে কোনও নিয়োগ করা হচ্ছে না ৷ এটা সত্যি নয় ৷ ইউপিএ জমানায় পোস্ট অফিসগুলিকে ধ্বংস করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু কংগ্রেসই এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে ৷
অশ্বীনি বৈষ্ণব জানিয়েছেন, গত সাড়ে 9 বছরে পোস্ট অফিস ও ডাক বিভাগের কীভাবে পুনরজ্জীবন হয়েছে; এই নয়া বিলে তা প্রতিফলিত হবে ৷ তাঁর দাবি, বর্তমানে দেশের পোস্ট অফিসগুলি প্রায় ব্যাংকের মতো কাজ করছে ৷ এদিন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বৈষ্ণব জানান, 2004 থেকে 2014 সালের মধ্যে 660টি পোস্ট অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু 2014 থেকে 2023 এর মধ্যে 5 হাজারটি পোস্ট অফিস খোলা হয়েছে ও আরও 5 হাজার 746টি ডাকঘর খোলার প্রক্রিয়া চলছে ৷ দেশের 1.6 লক্ষ পোস্ট অফিসকে কোর ব্যাংকিং ও ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন ৷ পোস্ট অফিসগুলির মাধ্যমে 1.25 কোটি পাসপোর্টের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এই নয়া বিল 1898 এর ইন্ডিয়ান পোস্ট অফিস অ্যাক্টের জায়গা নেবে ৷
আরও পড়ুন:
- ডাকে 'রসগোল্লা'র বিদেশ পাড়ি, দূরদূরান্তে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে যাবে পছন্দের খাবার-সামগ্রী
- বিপুল আয় বৃদ্ধি, দুয়ারে পরিষেবা দিতে 'জাতীয় ডাক সপ্তাহ' পালন পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের
- করোনাকালে ডাক বিভাগের সঞ্চয় প্রকল্পে বিপুল টাকা জমা, দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা