নয়াদিল্লি, 19 জুন : কেন্দ্র সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন রবিবার এই প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক সেনা বাহিনী ৷ সেনা দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি ( No arsonist will be allowed to join armed forces says Lieutenant General Anil Puri) ৷ এদিন তিনি বলেন, " এই প্রকল্পের ফলে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে সেনার গড় বয়স 32 থেকে 26 বছরে নেমে আসবে ৷ 50 থেকে 60 হাজার সেনা নিয়োগ হবে ৷ যা পরবর্তীকালে 90 হাজার থেকে 1 লাখ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়ার পর কোনও অগ্নিবীর দেশের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করলে 1 কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন ৷ সিয়াচেন ও অন্যান্য এলাকার সৈন্যরা বর্তমানে যা পান 'অগ্নিবীর'রাও সেই একই ভাতা পাবেন ৷ চাকরির শর্তে তাঁদের প্রতি কোনও বৈষম্য থাকবে না ৷" সেনায় যোগদানে ইচ্ছুক যাঁরা বিক্ষোভের নামে এই উগ্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ভবিষ্যতে পুলিশ ভেরিফিকেশনে তাঁদের ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হতে পারে বলেও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি ৷
দেশজোড়া প্রতিবাদের মধ্যেও 'অগ্নিপথ' প্রকল্পকে যে কোনওভাবেই বাতিল করা হবে না তা এদিন বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন বাহিনীর তরফে করা এই যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ৷ লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি এদিন বলেন, "প্রতি বছর প্রায় 17 হাজার 600 জন পদাতিক, নৌ ও বায়ু বাহিনী থেকে স্বেচ্ছাবসর নিচ্ছেন ৷ অবসর নেওয়ার পর কী করবেন, তা তাঁদের কেউ জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করেননি ৷ আমরা এই সংস্কারের মাধ্যমে সেনায় তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতা আনতে চাই ৷"
বিক্ষুব্ধ যুবকদের প্রতিবাদ ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বলেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি হল শৃঙ্খলা ৷ অগ্নিস্ংযোগ ও ভাঙচুরকারীদের কোনও স্থান নেই ৷ সেনায় ভর্তির সময় প্রত্যেককে একটি মুচলেকা দিতে হবে যে তাঁরা কোনও প্রতিবাদ বা ভাঙচুরের অংশ ছিলেন না ৷ পুলিশি ভেরিফিকেশনও হবে, সেই ছাড়পত্র ছাড়া আর কেউ যোগ দিতে পারবেন না ৷"