কলকাতা, 12 অগস্ট: অন্যদের ভালো রাখতে আগামী দিনে হাল ধরতে হবে তাঁদেরই ৷ অথচ ভালো নেই সেই ভাবী চিকিৎসকরাই ! পড়াশোনার পাহাড় প্রমাণ চাপ তো রয়েছেই ৷ সেইসঙ্গে রয়েছে ডাক্তারির হাতেকলমে পাঠ ৷ বহু ক্ষেত্রেই সিনিয়র ডাক্তারদের অপ্রতুলতা মেটাতে এই শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদেরই দ্বারস্থ হতে হয় সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিকে ৷ ফলে আর পাঁচটা বিভাগের পড়ুয়াদের মতো ছুটি কাটানোর সুযোগ পান না মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়ারা ৷ এর ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা যেমন শুরু হয়, তেমনই প্রবল মানসিক চাপের সঙ্গে লড়াই করতে হয় তাঁদের (Mental Health of PG Medical Students) ৷ স্বাভাবিকভাবেই এতে তাঁদের পড়াশোনার ক্ষতি হয় ৷ এমনকী, হাতেকলমে রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়েও ভুল করে ফেলার সম্ভাবনা থাকে ৷ এত দিন এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠলেও হুঁশ ছিল না সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজগুলির ৷ এবার তাই বাধ্য হয়েই হস্তক্ষেপ করতে হল 'জাতীয় মেডিক্য়াল কমিশন' (National Medical Commission) বা এনএমসি (NMC)-কে ৷
ইতিমধ্যেই এনএমসি-এর তরফ থেকে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ-সহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, মেডিক্যালের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে ৷ প্রত্যেক পড়ুয়া যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পান, তাঁরা সকলেই যাতে তাঁদের প্রাপ্য সাপ্তাহিক ছুটি পান, তাও নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই ৷ কোনও পড়ুয়া যদি কর্তৃপক্ষকে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বা অবসাদের কথা জানান, তাহলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে ৷ প্রয়োজনে সেই পড়ুয়ার কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়মিত যোগাভ্যাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷ কোনও পড়ুয়া ছুটির আবেদন করলে তা মঞ্জুর করতে হবে ৷