নয়াদিল্লি, 27 সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ বুধবার লরেন্স, বামবিয়া এবং আরশ ডালা গ্যাংয়ের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের 51টি জায়গায় হানা দিয়েছে ৷ মূলত, খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলির ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতেই এই অভিযান ৷ খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের 3টি মামলার তদন্তে নেমে 6টি রাজ্যে গোয়েন্দাদের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে ৷ বুধবার ভোর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা এই অভিযান শুরু করেছে ৷ এদিন ভোরবেলা পঞ্জাবের মোগা জেলার তাখতুপুরা গ্রামে এক মদ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ গোয়েন্দারা ৷
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, গ্যাংস্টার আরশ ডালা ওই মদ ব্যবসায়ীর কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল ৷ সেইমতো মদ ব্যবসায়ীর ওই গ্যাংস্টারকে মুক্তিপণের বেশ কিছু পরিমাণ টাকা দিয়েছিল ৷ আর সেই মামলার তদন্তের জন্য এনআইএ ওই মদ ব্যবসায়ীর বাড়িতে বুধবার ভোরবেলা অভিযান চালায় এনআইএ ৷ উত্তরাখণ্ডের বাজপুরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থার গোডাউনে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ দেরাদূনের সেলমেন টাউন এলাকার একটি বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা ৷
দেরাদুন পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরাখণ্ডে বিভিন্ন জায়গায় আজ সকাল থেকে এই অভিযানগুলি শুরু হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বাজপুরের আগ্নেয়াস্ত্র সংস্থার গোডাউনে মজুত করা অস্ত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখছেন ৷ এনআইএ আরও 43টি পৃথক সংগঠনের নাম প্রকাশ করেছে ৷ যারা লরেন্স, বামবিয়া এবং আরশ ডালা গ্যাংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে যুক্ত রয়েছে ৷ এদের অধিকাংশের যোগসূত্র কানাডায় বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ও গ্যাংস্টার গোষ্ঠীর সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ৷