আগ্রা, 7 অক্টোবর: 20 হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি ! চিকিৎসক-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার লোহামন্ডির একটি হাসপাতালে ৷ অভিযোগ, শিশুটি মারা গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি প্রসব করান ৷ কিন্তু আদতে সদ্যোজাত জীবিত ছিল। আগ্রার পুলিশ কমিশনার প্রীতিন্দর সিং জানিয়েছেন, নবজাতক দিল্লির এক দম্পতির কাছে রয়েছে । শিশুটিকে উদ্ধার করতে দিল্লি পাঠানো হয়েছে পুলিশের একটি দল।
জানা গিয়েছে, জগদীশপুরা থানা এলাকার বাসিন্দা নীলম পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী একজন জুতো তৈরির কারিগর। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে স্বামী তাঁকে 7 জুলাই লোহামন্ডির উষা দেবী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেন । তাঁকে জানান যে শিশুটির হৃদস্পন্দন নেই এবং খুব শীঘ্রই একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে তবেই বাঁচানো যাবে শিশুটিকে। চিকিৎসকেরা জানান, অস্ত্রোপচারে খরচ হবে 20 হাজার টাকা। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় পশ্চিমপুরের বাসিন্দা মায়ার । তিনি নীলমকে বলেন, চিন্তা না করতে ৷ শিশুটির চিকিৎসার খরচ তিনিই বহন করবেন । কিন্তু বাচ্চাটি বেঁচে গেল তাঁকে দিয়ে দিতে হবে। নীলমের চিকিৎসার জন্য 20 হাজার টাকা জমাও দেন মায়া । এরপর নরম্যাল ডেলিভারির মাধ্যমে ছেলের জন্ম দেন নীলম ৷ নবজাতকটি সুস্থও ছিল ।
নীলম অভিযোগ করেন, দু'দিন পর মায়াকে তাঁর সন্তানকে ফেরত দিতে অনুরোধ করেন তিনি ৷ মায়া তাঁর সন্তানকে দিতে রাজি হননি। কারণ, হিসেবে সে জানায়, শিশুটি তিনি তাঁর বন্ধু জ্ঞান সিংয়ের হাতে তুলে দিয়েছে, যেহেতু জ্ঞান সিংই চিকিৎসার খরচ বহন করেছিলেন। নীলম, মায়ার কাছ থেকে জ্ঞান সিংয়ের ঠিকানা নেন ৷ এরপর জ্ঞান সিংয়ের কাছে গিয়ে ছেলেকে চান ৷ জ্ঞান সিং জানান, তিনি দিল্লির এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে নবজাতককে বিক্রি করে দিয়েছেন । এরপরেই এ বিষয়ে লোহামন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।