থানে (মহারাষ্ট্র), 19 ফেব্রুয়ারি: নর্দমা থেকে এক পরিত্যক্ত নবজাতকের (Newborn rescued from drain) চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা । সময়টা 2018 সালের 30 ডিসেম্বর ৷ মহারাষ্ট্রের থানে অঞ্চলের উলহাসনগর সীমানার ভাদগাঁও গ্রামের ঘটনা ৷ সঙ্গে সঙ্গে সমাজকর্মী ও অশোকা ফাউন্ডেশনের শিবাজি রাগড়েকে খবর দেওয়া হয় ৷ তাঁরাই গিয়ে সেই সদ্যোজাতকে নর্দমার ভেতর থেকে টেনে বের করেন । মাথায় সংক্রমণ ছড়ালেও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে নতুন জীবন পায় সেই পুত্রসন্তান (Italy Couple Adopts Abandoned Child)৷ তার নাম রাখা হয় টাইগার ৷ সম্প্রতি এক ইতালীয় দম্পতি দত্তক নিয়েছেন সেই শিশুকে ।
শিশুটিকে নর্দমা থেকে বের করে চিকিৎসার ব্যবস্থা: নর্দমায় থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । অশোকা ফাউন্ডেশন চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করলেও শিশুটির মাথার ইনফেকশন ভালো হচ্ছিল না । তাই তৎকালীন বিধায়ক জ্যোত কালানির সাহায্য নেন শিবাজি রাগড়ে । এরপর ওয়াড়িয়া হাসপাতালে যোগাযোগ করে শিশুটিকে সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয় । হাসপাতালই প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসার খরচ বহন করে ৷
অস্ত্রোপচারের জন্য 24 ঘণ্টায় ব্যবস্থা হয় 10.42 লক্ষ টাকার: তারপর রাগড়ে একটি তহবিল সংগ্রহকারী এনজিও কেটোর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন । ওয়াড়িয়া হাসপাতালের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার পরে 24 ঘণ্টার মধ্যে 10.42 লক্ষ টাকারও বেশি জমা পড়ে সেই অ্যাকাউন্টে ৷ এরপর শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয় । প্রায় 4 মাস চিকিৎসার পর 2019 সালের 5 এপ্রিল টাইগারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এর পরে মহিলা বালকল্যাণ সমিতির নির্দেশে রাগড়ে এবং পুলিশ শিশুটিকে নবি মুম্বইয়ের নেরুলের বিশ্ব বালক কেন্দ্রে রেখে আসেন ৷