মুম্বই, 26 মে: নতুন সংসদ ভবন নিয়ে তরজা অব্যাহত ৷ ইতিমধ্যেই অবিজেপি 20টি রাজনৈতিক দল সংসদ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর মাঝেই সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে বোমা ফাটালেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত । তাঁর দাবি, এটি জাতীয় অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয় ৷ যার পালটা দিতে ছাড়েনি বিজেপিও । বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "রাজনীতি করার একটা সীমা থাকা উচিত ।" খোঁচা দিতে ছাড়েননি কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও ।
20টি বিরোধী দল এই অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্তের মধ্যেই শুক্রবার শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, "রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। আমরা নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের বিপক্ষে নই। আমরা জানতে চাই কেন ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপ-রাষ্ট্রপতি কোথায় ?" আমন্ত্রণ তালিকায় লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার নাম রয়েছে, অথচ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নাম সেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই । প্রসঙ্গত, দেশের উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত । শিবসেনার অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিকে কার্যত সাইডলাইন করে এই সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হচ্ছে ।
সঞ্জয় রাউত জানান, বিরোধী দলগুলির দাবি, দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতির উচিত নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করা। রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ বিতর্কের মাঝেই রাউত প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর ধারণা ছিল, যে এলকে আদবানি, যাঁর কারণেই বকলমে বিজেপি এখন 'আচ্ছে দিন' দেখেছে, তাঁকেও কি এই অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখা হয়েছে? তাঁর কথায়, "এই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে, বিজেপি অজুহাত দিচ্ছে, যেমন ইন্দিরা গান্ধি বর্তমান সংসদ ভবনের একটি সম্প্রসারণ অংশ উদ্বোধন করেছিলেন এবং রাজীব গান্ধি সংসদের লাইব্রেরি উদ্বোধন করেছিলেন, তেমনই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ।" তাঁর মতে অবশ্য, এক্সটেনশন বিল্ডিং, লাইব্রেরির সঙ্গে মূল সংসদ ভবনের অনেক পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুন:নয়া সংসদের ভবনের উদ্বোধন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
অন্যদিকে রাউত এবং কংগ্রেসকে যুগপৎ কড়া আক্রমণ করেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী । তিনি এদিন পালটা বলেন, “আমরা কংগ্রেসের দাস নই এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেব। কেন আমাদের কংগ্রেসকে অনুসরণ করতে হবে?" তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেস এখন রাষ্ট্রপতির প্রতি অনেক শ্রদ্ধা এবং উদারতা দেখাচ্ছে। তবে কেন তারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল? এখন বলছে যে বিজেপি আদিবাসীদের অপমান করছে। এই সব শুধুমাত্র জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং সমাজের একটি অংশ থেকে ভোট পাওয়ার জন্য ।"