আরবিআই তাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে বর্তমানে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত মোকাবিলা করার জন্য ভ্যাকসিনের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টিকে আরও দ্রুত করার কথা বলেছে ৷ পাশাপাশি মৌলিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আরও উন্নতি ঘটানো এবং অতিমারি রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আরও তীব্র করার পরামর্শও দিয়েছে আদালত ৷ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং চিলির অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় রোগের তীব্রতা এবং মৃত্যুর হার কমাতে ভ্যাকসিনই একমাত্র বিকল্প ৷
গত 16 জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ৷ এবং পর্যায়ক্রমে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে চলেছে ৷ 1 মে থেকে 18 বছরের বেশি সকলকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে ৷ 45 বছরের বেশি নাগরিকদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কিন্তু, 18 থেকে 45 বছর পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিকের ক্ষেত্রে একথা বলা হয়নি ৷ সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেককে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ভ্যাকসিনের অর্ধেক দাম সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে এবং বাকি দাম ক্রেতাকে দিতে হবে ভ্যাকসিনের দাম নির্ধারণ করতে পারবে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ৷ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে ৷ ইতিমধ্যেই 14.5 কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই তৃতীয়াংশ এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৷ অতিমারিটি তীব্র আকার নেওয়ার পরই 1 তারিখ থেকে ভ্যাকসিনের চাহিদা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাড়তে চলেছে ৷ রাতারাতি ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব নয় ৷ স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য সরকারগুলি ভয়াবহ চাপের মুখে পড়তে পারে ৷ এক বিরাট বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ৷
করোনার টিকা দেওয়ার জ্ন্য কেন্দ্র 35 হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল ৷ 45 বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য 10 হাজার টাকার কম ব্যয় করেছে কেন্দ্র ৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, দেশের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা কোনও রকম কার্পণ্য করবে না ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তার নিজস্ব কথা ভুলে গিয়ে রাজ্য সরকারগুলির উপর 48 হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে ৷ এটা কোনও ভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয় ৷ যদি 20 রাজ্য তাদের নিজের খরচার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বা তার দায়িত্ব গ্রহণ না করে, তাহলে বহু অসহায় মানুষ ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন ৷