ইম্ফল (মণিপুর), 7 মে:মণিপুরের অশান্ত এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 23 হাজার সাধারণ নাগরিককে উদ্ধার করতে পেরেছে ভারতীয় সেনা ও অসম রাইফেলসের জওয়ানরা ৷ তাঁদেরকে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে রবিবার সেনার তরফে জানানো হয়েছে ৷ সেনার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চূড়াচাঁদপুর এলাকায় নতুন করে কোনও অশান্তি না-ছড়ানোয় সকাল 7টা থেকে বেলা 10টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে ৷
ভারতীয় সেনার তরফে এদিন এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনা ও অসম রাইফেলসের 120-125 কলমের চেষ্টায় আসার আলো দেখা গিয়েছে ৷ চেষ্টা চলছে হিংসা দমন করে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনার ৷ গত 96 ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সব সম্প্রদায়ের বহু নাগরিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷ চূড়াচাঁদপুর এলাকায় নতুন করে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি ৷ সেনার রুটমার্চ চলছে এলাকায় ৷ শিথিল করা হয়েছে কারফিউ ৷
উল্লেখ্য, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্যকে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয় সম্প্রতি ৷ এরপরেই 3 মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর ৷ চূড়াচাঁদপুরে হিংসার সবথেকে বেশি ঘটনা ঘটে ৷ এরপরেই এলাকায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামানো হয় ৷ ইম্ফল ভ্যালিতে ড্রোন ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ সেনা ও আধাসেনা মোতায়ের পর ধীরে ধীরে মণিপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি পি দৌঙ্গেল ৷ সেনা ছাড়াও মোতায়েন রয়েছে র্যাফ, বিএসএফ, সিআরপিএফ এর মতো আধা সামরিক বাহিনী ৷ কেন্দ্রের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআরপিএফ এর প্রধান কুলদীপ সিং ৷ রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাহায্যের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলছে ৷ সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বায়ুসেনারও ৷
আরও পড়ুন: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হল শেষকৃত্য, শহিদ সিদ্ধান্তকে চোখের জলে বিদায় পাহাড়বাসীর