নয়াদিল্লি, 5 এপ্রিল: পাঠ্যবই থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এনসিইআরটি-র বিরুদ্ধে ৷ মুঘলদের বিষয় ইতিহাস বই থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তো উঠেছিল আগেই ৷ এবার জানা গেল, গান্ধিজীর মৃত্যুতে দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি কীভাবে বদলে গেল, গান্ধিজি সম্প্রীতি রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ করেছিলেন, আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা - এই বিষয়গুলিই বাদ দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পলিটিক্যাল সায়েন্স বই থেকে ৷
যদিও এনসিআরটি বা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের তরফে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে ৷ তাদের দাবি মহাত্মা গান্ধির বিষয়ে কোনও অংশই পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়নি ৷ তবে কোভিড-19 পরবর্তী বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কিছু বিষয়ে কাটছাঁট করা হয়েছে, সেই তালিকায় গুজরাত দাঙ্গা, মুঘলদের বিষয়, জরুরি অবস্থা, কোল্ড ওয়ার, নকশাল আন্দোলন-সহ আরও কিছু বিষয় রয়েছে ৷
এই নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস ৷ এই নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ তিনি বলেন, "আপনারা পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করতে পারেন ৷ কিন্তু আপনি দেশের ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবেন না । এটি বিজেপি-আরএসএসের একটি প্রচেষ্টা, তারা যত খুশি চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু তারা ইতিহাস মুছে ফেলতে পারে না ।" অন্যদিকে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ টুইট করে এই ঘটনাকে প্রতিহিংসার জন্য হোয়াইটওয়াশ বলে দাবি করেছেন ৷
কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারির দাবি, "এটা প্রথমবার নয় যে এমন ঘটনা ঘটেছে । আমার মনে আছে যে 1998-99 সালে প্রথম ও দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের সময়ও এই বিশেষ প্রকল্পটি উন্মোচন করা হয়েছিল । আমি শুধু বলতে চাই যে আপনারা ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারেন ৷ তবে আপনারা মুছতে পারবেন না ৷"
এদিকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা করন্ডালাজে পালটা তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর দাবি, কংগ্রেস বরাবরই ইতিহাস বিকৃত করেছে ৷ বিজেপি সেই বিকৃতিগুলি ঠিক করছে ৷ অন্যদিকে এনসিইআরটির প্রধান দীনেশ সাকলানি বলেন, "বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল গান্ধি সম্পর্কে পাঠ্য বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল । এটি শুধুমাত্র গত বছরই গৃহীত হয়েছিল । তত্ত্বাবধানের কারণে এটি যুক্তিযুক্ত বিষয়বস্তুর তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি । তালিকায় যে কোনও অনুপস্থিত বিষয়বস্তু এক বা দুই দিনের মধ্যে অবহিত করা হবে ।"