নয়াদিল্লি, 26 অগস্ট:আবারও বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলে শীর্ষ স্থান দখল করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ৷ একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় 75 শতাংশ জনমত পেয়ে বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনেতা নির্বাচিত হলেন তিনি ৷
সূত্রের খবর, বিশ্বজুড়ে সমীক্ষাটি চালিয়েছে 'মর্নিং কনসাল্ট' (Morning Consult) নামে একটি সংস্থা ৷ তাদের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায় মোদির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাদোর (Andres Manuel Lopez Obrador) এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি (Mario Draghi) ৷ তাঁদের প্রাপ্ত সমর্থনের পরিমাণ যথাক্রমে 63 শতাংশ এবং 54 শতাংশ ৷ সংশ্লিষ্ট তালিকায় মোট 22 জন রাষ্ট্রনেতার নাম রয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) রয়েছেন পঞ্চম স্থানে ৷ তিনি পেয়েছেন 41 শতাংশ মানুষের সমর্থন ৷
আরও পড়ুন:মোদির মিথ্যাচারের হাটে হাঁড়ি ভাঙবে নয়া জুমলা মিটার, দাবি তৃণমূলের
বাইডেনের পর ছয় নম্বরে রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) ৷ তাঁকে সমর্থন করেছেন 39 শতাংশ মানুষ ৷ 38 শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকায় সাত নম্বরে রয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida) ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এবং গত বছরের নভেম্বর মাসেও জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ সূত্রের দাবি, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য, নির্বাচিত আধিকারিক এবং নির্বাচনের বিভিন্ন ইস্যু-সহ একাধিক বিষয় বিশ্লেষণ করে সেরা রাষ্ট্রনেতাদের তালিকা তৈরি করা হয় ৷ এই সমস্ত তথ্য পেতে মর্নিং কনসাল্ট কর্তৃপক্ষ রোজ সারা বিশ্বে 20 হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নেয় বলে দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের ৷
যাঁরা এই ধরনের সমীক্ষা চালান, তাঁদের দাবি, অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মতভাবে পুরো প্রক্রিয়া সারা হয় ৷ তাই সংগৃহীত তথ্য প্রায় নির্ভুল বলা যায় ৷ তবে, সার্বিক পরিস্থিতি ধরলে সমীক্ষার রিপোর্টে 1 থেকে 4 শতাংশ হেরফের হতে পারে ৷ সেটা ধরে নিয়েই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয় ৷ যেকোনও দেশের মোট আয়তন, সেখানকার জনসংখ্যা, আর্থ-সামাজিক বণ্টন-সহ নানা বিষয়কে মাথায় রেখে নির্দিষ্ট সংখ্য়ক নাগরিকের উপর সমীক্ষা চালানো হয় ৷ যাকে বলা হয়, 'স্য়াম্পেল সাইজ' ৷ আমেরিকার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা প্রায় 45 হাজার ৷ অন্য়ান্য যে দেশগুলিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, সেখানে স্য়াম্পেল সাইজের পরিমাণ ছিল 500 থেকে 5 হাজার ৷
মর্নিং কনসাল্ট-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত সাক্ষাৎকারই অনলাইনে নেওয়া হয়েছে ৷ যাঁরা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ৷ ভারতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গেই কথা বলা হয়েছে ৷ কয়েকটি দেশে সমীক্ষার জন্য যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাঁদের বয়স, লিঙ্গ এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে শ্রেণি বিভক্ত করে নেওয়া হয়েছে ৷ আবার কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে সরকারি নথিতে থাকা শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে সাক্ষাৎকার দেওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন শ্রেণিতে রাখা হয়েছে ৷ আমেরিকায় সমীক্ষা চালানোর সময় ব্যক্তির বর্ণ এবং জাতিকেও হিসাবের মধ্যে রাখা হয়েছে ৷ প্রত্য়েকটি দেশেই যাঁরা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাঁরা এই প্রক্রিয়ার জন্য নিজেদের পছন্দের ভাষা বেছে নিয়েছেন ৷