নয়াদিল্লি, 25 মার্চ:ফৌজদারি মানহানি মামলায় সুরাতের আদালতে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, পেয়েছেন 2 বছরের কারাবাসের নির্দেশ ৷ সেই রায়ের জেরে শুক্রবার লোকসভার সদস্যপদ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধি ৷ আর শনিবার সেই রাহুলকেই দেখা গেল আরও আগ্রাসী মেজাজে (Rahul Gandhi disqualification) ৷ দিল্লিতে কংগ্রেস দফতরে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে যে রাহুল গান্ধি ধরা দিলেন, তাতে দৃশ্যতই স্পষ্ট গত 2 দিনের ঘটনা তাঁকে বিচলিত কম বরং আরও আগ্রাসী করে তুলেছে বিজেপি ও প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ৷ এদিন ফের আদানি প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি'কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল (Rahul Gandhi) ৷
তিনি যে তাঁর অবস্থানে অনড় এবং কোনও অবস্থাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই থেকে তিনি পিছু হঠবেন না তা এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই বুঝিয়ে দেন এই কংগ্রেস নেতা ৷ আদানি-মোদি সম্পর্কের কথা টেনে এদিন আরও একবার প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুল ৷ তাঁর মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন কি না, এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে গান্ধি পরিবারের এই সদস্য এদিন টেনে আনেন সাভারকর প্রসঙ্গ, জানান তিনি ক্ষমা চাইবেন না ৷
লন্ডনে তাঁর বক্তৃতায় দেশের অপমান করেছেন রাহুল গান্ধি, তাই তাঁকে সংসদে ক্ষমা চাইতে হবে ৷ এই দাবিতে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন থেকেই সংসদের অধিবেশনে সরব হয়েছিল শাসক শিবির ৷ রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে নজিরবিহীনভাবে লোকসভার অধিবেশন অচল করে দিয়েছিলেন খোদ বিজেপি সাংসদরাই ৷ শনিবারের সাংবাদিক সম্মেলনেও রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গটি ওঠে ৷ প্রশ্ন করা হয় লন্ডনে তাঁর বক্তৃতা নিয়ে অথবা মোদি পদবি নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন কি না ৷ জবাবে সদ্য সাংসদ পদ খোয়ানো রাহুল বলেন,"আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধি ৷ গান্ধি কারও কাছে ক্ষমা চায় না ৷"