অযোধ্যা, 14 জানুয়ারি:মুসলমানদের ধন্নিপুরে মসজিদের কোনও প্রয়োজন নেই বলে দাবি করলেন রাম মন্দির নিয়ে অন্যতম মামলাকারী ইকবাল আনসারি ৷ তাঁর মতে, ধন্নিপুরে মসজিদ নিয়ে মুসলমানরা মাথা ঘামায় না । বরং সেখানে চাষবাস হোক ৷ তার ফসল ভাগ হোক হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ৷
তিনি বলেন, "আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, সেখানে মসজিদ নির্মাণ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না কোনও মুসলমান ।" আনসারি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেও, 2019 সালের 9 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন । এখন রাম মন্দির নির্মাণেও তিনি বেশ খুশি । যদিও ধন্নিপুরের প্রস্তাবিত মসজিদ সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন ।
অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান ইকবাল আনসারি ৷ প্রস্তাবিত মসজিদের জমি চাষ করা এবং হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সমানভাবে ফসল ভাগাভাগির পক্ষে তিনি । তাঁর মতে, তীর্থযাত্রীরা এখানে এলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে ।
তিনি বলেন, "আমি এটি সম্পর্কে এটুকুই বলব যে, সেখানে এখন মসজিদের প্রয়োজন নেই । এটি মুসলমানদের কাছেও একটি আবেদন । সেখানে এখন মসজিদের প্রয়োজন নেই । পাঁচ একর যে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, জাফর ভাইয়ের এটা দরকার, তাঁকে চাষ করতে দিন । যা কিছু উৎপাদিত হয়, তা হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন করা হোক ৷"
ইকবাল বলেন যে, জাফর ফারুক ধন্নিপুরের মসজিদের ট্রাস্টি এবং ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান । মসজিদ নির্মিত হচ্ছে নাকি হচ্ছে না, এ বিষয়ে মুসলমানরা তাঁকে কিছু জিজ্ঞেস করছেন না । সরকার জমি প্রদান করেছে এবং মুসলমানদের কোনও অভিযোগ নেই ৷
ইকবাল জোর দিয়ে বলেন, তিনি এই বিবাদে জড়াতে চান না । রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের কথা বলতে গিয়ে ইকবাল বলেন, "দেখুন, এখানে সমস্যা অযোধ্যা নিয়ে । এটা ভালো কথা, মন্দির প্রস্তুত । পুজো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । সারা দেশের মানুষ এবং বিদেশ থেকেও মানুষজন আসছেন । সবার প্রতি ঐক্য ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত ।" তিনিও রাম মন্দিরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানালেন ইকবাল ৷
আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীদের নিয়ে নয়, তিনি একাই সেখানে যাবেন বলে জানালেন । এ বিষয়ে মুসলমানদের চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে অযোধ্যায় উন্নয়ন হচ্ছে । এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এতে অসন্তুষ্ট, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইকবার বলেন, ওয়াইসিকে তিনি চেনেন না এবং তাঁর সম্পর্কে কথাও বলতে চান না । তবে মুসলিমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে ও শান্তি বজায় রাখতে চায় বলে জানান ইকবাল ৷ মথুরা এবং কাশী সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইকবাল বলেছেন যে, সেখানকার সমস্যাগুলি সেই জায়গার লোকেরাই সমাধান করবেন ।
আরও পড়ুন:
- নিজের নাম প্রচারে ধর্মগ্রন্থের নিয়ম না মানাটা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, মোদিকে নিশানা পুরীর শংকরাচার্যের
- 'অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে খুশি 74% মুসলমান, তাঁদের চোখে মোদিই দেশের সফলতম প্রধানমন্ত্রী'
- 1300 কিমি পথ পাড়ি, মোদির গ্রাম থেকে অখণ্ড জ্যোতি নিয়ে অযোধ্যায় রামভক্তরা