পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Communal Harmony: 'তিনি আমার বাবার মতো ছিলেন...', হিন্দু কর্মচারীর শব বহনের পর মন্তব্য মুসলিম ব্যবসায়ীর

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলা অসন্তোষ ও অসহিষ্ণুতার মধ্যেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির (Communal Harmony) ছবি দেখা গেল বিহারে ৷ হিন্দু কর্মচারীর শেষ যাত্রায় সামিল হলেন মুসলিম ব্যবসায়ী ৷

Muslim shop owner Performed Last Rites Of Hindu Employee shows Communal Harmony
Communal Harmony: "তিনি আমার বাবার মতো ছিলেন...", হিন্দু কর্মচারীর শব বহনের পর মন্তব্য মুসলিম ব্যবসায়ীর

By

Published : Jul 7, 2022, 7:07 PM IST

পটনা, 7 জুলাই:কখনও পয়গম্বরকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে অশান্তি, আবার কখনও 'কালী' তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে বিতর্ক ৷ অসন্তোষ ও অসহিষ্ণুতার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক সৌভ্রাতৃত্বের (Communal Harmony) বার্তা দিলেন বিহারের এক ব্যবসায়ী ৷ ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও হিন্দু কর্মচারীর শেষযাত্রায় অংশ নিলেন তিনি ৷ যাঁকে নিয়ে এত কথা, তাঁর নাম মহম্মদ রিজওয়ান খান (Mohammad Rizwan Khan) ৷ পটনায় একটি দোকান রয়েছে তাঁর ৷ সেই দোকানেই গত 25 বছর ধরে চাকরি করতেন রামদেব শাহ (Ramdev Sah) ৷ দীর্ঘদিনের কর্মসূত্রে খান পরিবারেরই একজন সদস্য হয়ে উঠেছিলেন রামদেব ৷ তাই তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রিজওয়ান ৷ হিন্দু প্রথা মেনে রামদেবের শেষকৃত্যের আয়োজন করা হলে সেই অনুষ্ঠানে সামিল হন তিনিও ৷ নিজে কাঁধে বয়ে নিয়ে যান রামদেবের মরদেহ ৷ ইতিমধ্যেই সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামদেবের বয়স হয়েছিল 75 বছর ৷ গত সপ্তাহে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ রামদেবের শেষকৃত্যে রিজওয়ান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ওই এলাকার অন্য অনেক মুসলিম পরিবার অংশ নেয় ৷ সকলেরই বক্তব্য, তাঁরা 25 বছর ধরে রামদেবকে চেনেন ৷ তিনি ছিলেন খাঁটি মানুষ ৷ তাঁর সরল, সাদাসিধে চরিত্র যে কারও মন জয় করে নিত ৷ সেই কারণেই রামদেবের শেষ যাত্রায় ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে এক হয়ে গিয়েছে দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ৷

আরও পড়ুন:Kali Remark Row: মা কালী বিতর্কে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিজেপি'র

এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রিজওয়ান বলেন, "তিনি (রামদেব) আমার বাবার মতো ছিলেন ৷ যখন তিনি কাজের খোঁজে আমাদের দোকানে এসেছিলেন, তখন তাঁর বয়স প্রায় 50 বছর ৷ আমি ওঁকে বলেছিলাম, আপনি ভারী কাজ করতে পারবেন না ৷ সেই শুনে তিনি আমাকে বলেছিলেন, তিনি খুব ভালো হিসাব করতে পারেন ৷ পরে যখন ওঁর বয়স আরও বাড়ল, তখন আমি ওঁকে বলেছিলাম, ওঁর আর দোকানে আসার দরকার নেই ৷ তবে তাতে ওঁর বেতন বন্ধ হবে না ৷" কিন্তু, বিনা পরিশ্রমে পারিশ্রমিক নিতে রাজি ছিলেন না রামদেব ৷ বার্ধক্যকে উপেক্ষা করেই তাই কাজ করে গিয়েছেন তিনি ৷

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উদ্বেগ লুকিয়ে রাখেননি রিজওয়ান ৷ তিনি বলেন, "এই হিংসা কখনই মানুষের প্রকৃত চরিত্র হতে পারে না ৷ টেলিভিশনে যেটা দেখানো হচ্ছে, সেটা আসল ছবি নয় ৷ যখন একটি শিশু আহত হয়, আমরা তার ধর্ম জানতে চাই না ৷ আগে আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি ৷ একইভাবে আমরা হিন্দুদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি ৷ তাঁরাও আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details