গাজিপুর, 8 এপ্রিল:গলা কেটে দুই সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে ৷ তবে, বেঁচে গিয়েছে ওই মহিলার সবথেকে বড় সন্তান ৷ হাড় হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে ৷ অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নিহত দুই শিশুর দেহ পাঠানো হয়েছে মর্গে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম নীতু যাদব ৷ তাঁর স্বামী অজিত যাদব ৷ এই পরিবারটি আদতে গাজিপুরের মারদাহ থানার অন্তর্গত হরিকরণপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও অজিত বছরের বেশিরভাগ সময়েই বাড়িতে থাকেন না ৷ তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন ৷ সেই সূত্রেই থাকতে হয় জম্মুতে ৷ যাদব দম্পতির সব মিলিয়ে তিনটি সন্তান ৷ সবথেকে বড় মেয়েটির বয়স 9 বছর ৷ তার নাম পরী ৷ পরীর দুই ভাই ৷ তারা হল 7 বছরের হ্যাপি এবং 10 মাসের হার্দ্যিক ৷ তিন সন্তানকে নিয়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন নীতু ৷ কিন্তু, শনিবার সকালে এক লহমায় সবকিছু বদলে যায় ৷ যখন জানা যায়, নীতু তাঁর দুই সন্তানকে খুন করেছেন !
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতেও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল ৷ সকলে একসঙ্গেই রাতের খাওয়া সারেন ৷ তারপর নীতু তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান ৷ সকালে দেখা যায়, নীতুর ছোট দুই সন্তান মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছে ৷ তাদের দু'জনেরই ধর থেকে মাথা আলাদা ছিল ! পরিবারের বাকি সদস্য এবং প্রতিবেশীদের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেন নীতু ৷ জানান, তিনি নিজেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুই সন্তানের গলা কেটে দিয়েছেন ! তবে, এই ঘটনায় বেঁচে গিয়েছে 9 বছরের পরী ৷
আরও পড়ুন:মদ্যপ স্বামীকে খুন স্ত্রীর, মত্ত অবস্থায় বাবাকে পিটিয়ে মারল ছেলে
এমন নারকীয় ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ সুপার ওমবীর সিং ৷ পৌঁছন স্থানীয় থানার কর্মী ও আধিকারিকরাও ৷ তাঁদের সামনেও খুনের কথা স্বীকার করেন নীতু ৷ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ৷ নীতুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, নীতুর মানসিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় ৷ দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হতাশা ও মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি ৷ গত চার-পাঁচবছর ধরে নীতুর চিকিৎসাও চলছে ৷ কিন্তু, তিনি যে এমন কোনও কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশেরও নীতুর মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ৷ তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷