লখনউ, 19 মে : একটি মসজিদ ভাঙার ঘটনার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকির প্রশাসনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করল অল ইণ্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড ৷ যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা আদালতের নির্দেশ মেনেই একটি অবৈধ কাঠামো ভেঙে দিয়েছে ।
অল ইণ্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি) এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৌলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রেহমানী এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, রাম সানেহি ঘাট তহসিল সংলগ্ন শতাব্দী প্রাচীন গরিব নওয়াজ মসজিদটি পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার রাতে কোনও আইনি ন্যায়বিচার ছাড়াই প্রশাসন কর্তৃক ভেঙে ফেলা হয় ৷
মসজিদ সম্পর্কিত কোনও বিরোধ ছিল না বলে জানা গিয়েছে ৷ এটি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে তালিকাভুক্তও রয়েছে ৷ এই বিষয়ে রাম সানেহি ঘাটের এসডিএম বলেন, মার্চ মাসে সংশ্লিষ্ট কমিটির থেকে মসজিদের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল ৷ যার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে যোগাযোগ করে ৷ তিনি আরও বলেন, প্রশাসন বিনা নোটিসে মসজিদটি ভাঙে ৷ ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার এবং জমির উপর অন্য কোনও কাঠামো প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন বলে জানান তিনি ৷
আরও পড়ুন :নারদ মামলাকে প্রভাবিত করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকেও পার্টি করল সিবিআই
তিনি আরও বলেন, সরকারের কর্তব্য এই জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করা এবং মুসলমানদের হাতে তা তুলে দেওয়া ৷
অন্যদিকে, জেলাশাসক আদর্শ সিংহ এই নির্মাণকাজটির বর্ণনা দিয়ে বলেছিলেন যে, এটি একটি মসজিদ এবং এর আবাসিক অঞ্চলকে অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ জেলাশাসক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 15 মার্চ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি নোটিস দিয়ে তাদের মালিকানার বিষয়ে মতামত জানাতে সুযোগ দিয়েছিল ৷ কিন্তু সেখানে বসবাসকারীরা নোটিস পাওয়ার পরে পালিয়ে যায় ৷ এর ফলে 18 মার্চ তহসিল প্রশাসন এর দখল পায় ৷ তিনি আরও বলেন, 2 এপ্রিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ এই বিষয়ে দায়ের করা একটি আবেদন শেষ করে, যা প্রমাণ করেছিল এই নির্মাণটি অবৈধ ৷
আরও পড়ুন :নিজাম প্যালেসে আক্রমণের ঘটনার ভিডিয়ো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠাল সিবিআই
যুগ্ম জেলাশাসক দিব্যাংশু প্যাটেলও এই নির্মাণকে অবৈধ বলে অভিহিত করে বলেন আদালতের নির্দেশে ভবনটি ভাঙা হয় ৷
ইউপি সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডও এই ঘটনার নিন্দা করে এটিকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছে ৷ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকী এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, "তহসিল চত্বরের নিকটবর্তী মসজিদটি রাম সানেহি ঘাট এসডিএম কর্তৃক দখল মুক্তকরণের নামে ভেঙে ফেলা হয়েছে । আমি এই অবৈধ এবং স্বেচ্ছাচারী কর্মের তীব্র নিন্দা জানাই ৷" তিনি আরও জানান, শিগগিরই তারা এই বিষয়ে আদালতে মামলা করবে ৷