নয়াদিল্লি, 26 ফেব্রুয়ারি: কেউ না থাকলেও তিনি আছেন ৷ সরকার ও মিডিয়া চুপ থাকলেও তিনিই আদানির বিরুদ্ধে একা হুইসলার ৷ টুইট করে একথাই জানালেন তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ 24 জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে ৷ তাতে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে নানা ভাবে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে ধরা হয় ৷ এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশে এবং দেশের বাইরে ৷ শেয়ার বাজারে ধস নামে ৷ সংসদের বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস-সহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হয় ৷ তারা জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি গঠনেরও দাবি জানায় (Mahua Moitra tweets over Adani Scam) ৷
ইতিমধ্যে আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগকারী এলাআইসির কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ তার হিসেবও টুইট করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ ৷ তিনি একের পর এক টুইটে আদানি গোষ্ঠীর এই আর্থিক প্রতারণার হিসেবনিকেশ পোস্ট করে চলেছেন ৷ শুধু এলআইসি নয়, এসবিআই-এরও কোটি কোটি টাকা আদানি গোষ্ঠীর সংস্থায় লগ্নি করা আছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ ৷ বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের দাবি, শিল্পপতি গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ ৷ আর ঠিক সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয় না ।