গুয়াহাটি, 4 ডিসেম্বর: চলতি বছর দেশের মিস ট্রান্স এনই (নর্থইস্ট) (Miss Trans NE) প্রতিযোগিতায় অনিল্যা বোরোর মাথায় মুকুট ওঠেনি ৷ তবে প্রতিযোগিতায় (Pageant Celebrates Trans Life) উপস্থিত থেকে তাঁকে তাঁর বাবা-মা যেভাবে উৎসাহ জুগিয়েছেন, সেটাই ছিল তাঁর অধিকারের প্রতি বৈধতার প্রমাণ ৷
22 বছরের অনিল্যা বললেন, "আমাকে অবশ্যই আমার বাবা-মায়ের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে আমি একটি মেয়ে হিসাবে কিছু করতে পারি ৷ আমি শিরোপা জিততে পারিনি, তবে আমি খুব খুশি যে আমার বাবা-মা আমাকে সমর্থন করার জন্য শোতে উপস্থিত ছিলেন । এখন তাঁরা আমার মেয়ে হিসাবে বেঁচে থাকার এবং অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে আমি তাড়াহুড়ো করি, এটা তাঁরা চান না ।"
আয়োজক আজান আকাশ বড়ুয়া জানালেন, দেশের উত্তর-পূর্বের আটটি রাজ্য থেকে এসেছেন প্রতিযোগীরা ৷ গত বুধবার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সৌন্দর্য ও স্বতন্ত্রতা প্রচার করতে এবং রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের অধিকারকে উন্নীত করার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ৷ কোনও কর্পোরেট তহবিল ছাড়া অনুষ্ঠানটি করা সহজ ছিল না । আজান প্রতিযোগিতার অর্থ জোগারের জন্য ট্রান্সজেন্ডারদের সমর্থনকারী বন্ধু ও সংস্থাগুলির সাহায্য চেয়েছিলেন ।
2014 সালে ট্রান্সজেন্ডারদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু ট্যাবু এখনও রয়ে গিয়েছে ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজের পাশাপাশি নিজের পরিবারের দ্বারাই বৈষম্যের শিকার হন রূপান্তরকামীরা ৷ তাঁরা প্রায়শই চাকরি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হন ৷
আজান দেশের রাজধানীতে 13 বছর ধরে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে বসবাস করেছেন ৷ দেশে কোভিড 19 আঘাত হানার পর উত্তর-পূর্ব অসমের গুয়াহাটিতে তাঁর নিজের শহরে চলে আসেন । তিনি 2014 সালে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় ট্রান্স কুইন খেতাব জিতেছিলেন এবং পরে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ট্রান্স সম্প্রদায়কে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ।