ঔরঙ্গাবাদ, 11 জুন: জোড়া ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ৷ আর দু'টি ক্ষেত্রেই লালসার শিকার হয়েছে দুই নাবালিকা ৷ এর মধ্যে আবার সাতারায় প্রথম ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালিকার বাবা ৷ শনিবারের ঘটনায় 14 বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তারই বাবার বিরুদ্ধে ৷ অন্যদিকে, ঔরঙ্গবাদের সিল্লোরের ঘটনায় বাবার বন্ধুর বিরুদ্ধে 7 বছরের নাবালিকার সঙ্গে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৷ দুই ঘটনাতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
ঔরঙ্গাবাদ পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সাতারা এলাকায় এক ব্যক্তি তাঁর 14 বছরের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই নাবালিকা বাড়িতেই নির্মম অপরাধের শিকার হয়েছে ৷ তাঁর মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন কন্যাসন্তান রয়েছে ৷ তাদের মধ্যে বড় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ আর তাঁর স্ত্রী এই মুহূর্তে 9 মাসের অন্তঃসত্ত্বা ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ৷ 2015 সালে প্রতিবেশীর নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত ৷ যে ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয় ৷ সেবার গ্রেফতারির কয়েক মাসের মধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি ৷ আর এবার নিজের মেয়েই তার কুকর্মের শিকার ৷ অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করলে 12 জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক ৷
আরও পড়ুন:মাসির বাড়িতে দাদার লাগাতার ধর্ষণের শিকার! মৃত্যু মগরাহাটের নাবালিকার
অন্যদিকে, ঔরঙ্গাবাদের সিল্লোরে বন্ধুর 7 বছরের নাবালিকা মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবারের ঘটনায় ওই বাচ্চাটিকে 50 টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত ৷ সেখানে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত ৷ কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটি বাড়ি ফিরলে, তাকে অস্বাভাবিক মনে হয় তার মায়ের ৷ কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলে, বাচ্চাটি মাকে সব কথা বলে ৷ এর পরেই তিনি পুরো ঘটনা তাঁর স্বামীকে জানান এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা ৷ পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ৷ দু’টি ঘটনাতেই পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷