ওয়ারঙ্গল (তেলাঙ্গানা), 7 সেপ্টেম্বর: অস্ত্রোপচারের আগেই প্রাণ হারাতে হল আট বছরের এক বালককে (Minor Boy Lost Life) ৷ পরিবারের সদস্যদের দাবি, তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল ৷ সেই মতোই সমস্ত আয়োজন করা হয় ৷ কিন্তু, অস্ত্রোপচারের আগে তাকে যখন অ্যানেস্থেসিয়া (Anesthesia) দেওয়া হয়, তখনই বাধে বিপত্তি ৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ওই বালক ৷ পরে মৃত্যু হয় তার ৷ মঙ্গলবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে তেলাঙ্গানার (Telangana) ওয়ারঙ্গল এমজিএম হাসপাতালে (Warangal MGM hospital) ৷
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বালকের নাম নিহান ৷ ওয়ারঙ্গল জেলার লিঙ্গ টান্ডার বাসিন্দা ভুক্য শিবা এবং ললিতার সন্তানদের মধ্যে সেই ছিল কনিষ্ঠতম ৷ গত 4 অগস্ট দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছেলেটি ৷ তাতেই তার ডান হাত ভেঙে যায় ৷ চিকিৎসকরা জানান, এতে ভয়ের কোনও কারণ নেই ৷ অস্ত্রোপচার করলেই নিহান সম্পূর্ণ সেরে যাবে ৷ বস্তুত, ওই একই দিনে তাকে ওয়ারঙ্গল এমজিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷
আরও পড়ুন:ধানবাদে বেসরকারী ঋণদাতা সংস্থায় ডাকাতির চেষ্টা, পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত এক
মঙ্গলবার সকাল 10টা 30 মিনিটে নিহানের অস্ত্রোপচার শুরু করার কথা ছিল ৷ সেই মতো, নির্ধারিত সময়েই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, নিহানকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতেই চিকিৎসকরা বুঝে যান কোথাও একটা সমস্যা আছে ৷ কিন্তু, তা সামাল দেওয়ার আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ওই বালক ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরআইসিইউ (RICU) ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ নিহানের প্রাণ বাঁচাতে কৃত্রিভাবে তার শরীরের সমস্ত অঙ্গগুলিকে সচল রাখার চেষ্টা করা হয় ৷ কিন্তু, তাতে শেষমেশ কোনও লাভ হয়নি ৷
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর 1টা 10 মিনিটে নিহানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে নিহানের ৷ প্রতিবাদে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ তাঁদের সবথেকে বড় অভিযোগ হল, নিহানের মৃত্যুর প্রায় তিনঘণ্টা পর একথা পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় ! ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷