নয়াদিল্লি, 23 মার্চ : দুই বছর আগে ভারতে প্রবেশ করেছিল করোনা সংক্রমণ ৷ তারপর একাধিক বিধিনিষেধ ও লকডাউনের ঘেরাটোপে আটকা পড়েছিল সাধারণ মানুষ । ঘরবন্দি জীবন, নাইট কারফিউ ও কন্টেনমেন্ট জোন-এগুলি সাধারণ মানুষের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছিল । তবে বর্তমানে দেশে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম ৷ তাই এসব থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে দেশবাসী ৷ কন্টেনমেন্ট সংক্রান্ত সমস্ত করোনাবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Ministry)। আগামী 31 মার্চ থেকে উঠে যাচ্ছে করোনা সংক্রান্ত সমস্তরকম বিধিনিষেধ (MHA ends COVID-19 containment measures from March 31) । দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । তবে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এখনও বাধ্যতামূলক (Face Mask is Mandatory)।
প্রায় দু'বছর পর দেশ থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার । 2020 সালের 24 মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল করোনার নিষেধাজ্ঞা । একের পর এক দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন পর্ব পেরিয়ে করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ আসে দেশে । জারি করা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনও । যার আওতায় কোভিড আইনভঙ্গকারীদের শাস্তিও দিয়েছে প্রশাসন । অবশেষে দেশব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির আগেই কোভিড সংক্রান্ত সবরকম বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র ৷
আরও পড়ুন : Infant Body in Microwave : চিরাগ দিল্লিতে মাইক্রোওয়েভ থেকে উদ্ধার মৃত শিশুকন্যা, গ্রেফতার মা
সূত্রের খবর, সমস্ত রাজ্যের এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা (Union Home Secretary Ajay Bhalla) । আর তারপরই দেশ থেকে কোভিডের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র । রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, ভ্যাকসিনেশন থেকে শুরু কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে । বর্তমানে দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে বলেও মনে করছে কেন্দ্র । এছাড়াও প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্টি রূপরেখাও তৈরি রয়েছে । ফলে এবার থেকে আর কোভিডের কড়া বিধিনিষেধ থাকবে না ।
দেশের করোনা সংক্রমণ কমতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানান যে, বিগত 24 মাস ধরে করোনা সংক্রমণ রুখতে শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, নজরদারি, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, টিকাকরণ, হাসপাতালের পরিকাঠামো সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল । সাধারণ মানুষকেও করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে । রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতে নিজেদের উদ্যোগে বিস্তারিত পরিকল্পনা ও তা প্রয়োগ করেছেন ।