প্রয়াগরাজ, 16 এপ্রিল: গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ৷ তিনি রাজনৈতিক নেতা থেকে গ্যাংস্টার হয়ে উঠেছেন নাকি গ্যাংস্টার-ই তাঁর প্রথম পরিচয় ? শনিবার রাতে নাটকীয় ভাবে পুলিশের সামনে তার ও তার ভাই আশরফের মৃত্যু হয় ৷ কে এই আতিক আহমেদ ? এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টানা পাঁচবার রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী হয়েছিল সে ৷ আতিকের জীবনের রাজনৈতিক পর্বের পরতে পরতে আছে থ্রিলার ।
1989 সালে রাজনীতিতে প্রবেশ আতিকের ৷ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া ৷ সেবারই জয়ী হয়ে বিধায়ক হওয়া ৷ 1996 সালে প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সে ৷ এরপর 2002 সালে আপনা দলের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে ফের প্রার্থী হওয়া এবং ফের জয় ৷ প্রসঙ্গত, 1999 সাল থেকে 2003 সাল পর্যন্ত আপনা দলের সভাপতি পদেও আসীন ছিল আতিক ৷
2004 সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিধানসভা কেন্দ্রটি ছেড়ে দেয় আতিক ৷ সমাজবাদী পার্টি তাকে ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ার টিকিটও দেয় ৷ এবারও জয়ী আতিক ৷ প্রথমবার সংসদে প্রবেশ এসপি লোকসভা সাংসদ আতিক আহমেদের ৷ প্রসঙ্গত, ফুলপুর কেন্দ্রটির সঙ্গে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি যোগাযোগ আছে ৷ স্বাধীনতার পর প্রথম নির্বাচন হয় 1952 সালে ৷ সেই নির্বাচন থেকে শুরু করে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এই লোকসভা কেন্দ্রটি নেহরুর দখলেই ছিল ৷
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সেজেই খুন আতিক-আশরফদের, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ যোগীর
ফিরে আসা যাক আতিক আহমেদের রাজনৈতিক জীবনে ৷ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি একের পর এক অপরাধের ঘটনায় নাম জড়ায় আতিকের ৷ পাশাপাশি আতিকের ছেড়ে দেওয়া এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রটি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয় তার ভাই খালিদ আজম ওরফে আশরফ ৷ কিন্তু এবার বড় ধাক্কা খেল আতিক ৷ আশরফকে হারিয়ে জয়ী হল বহুজন সমাজ পার্টি বা বিএসপি-র রাজু পাল ৷ এই হারটা হয়ত মেনে নিতে পারেনি সাংসদ আতিক ৷ কিছুদিনের মধ্য়ে 2005 সালের 25 জানুয়ারি খুন হয় রাজু পাল ৷ এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী পুলিশের কাছে আতিকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ফের এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয় আতিকের ভাই আশরফ ৷ এবার তার প্রতিপক্ষ প্রয়াত রাজু পালের স্ত্রী পুজা পাল ৷ কিন্তু এবার জয়ী আশরফ ৷