বালাসোর, 19 জুলাই: বালাসোরে ফের একটি বড়সড় রেল দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই ৷ লোকো পাইলট বা ট্রেনের চালকের সতর্কতার জন্য মঙ্গলবার বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে ভদ্রক-বালাসোর মেমু ৷ এই ঘটনায় বুধবার নীলগিরি রোড স্টেশনের স্টেশন-মাস্টার এবং সেখানকার পয়েন্টসম্যানকে সাসপেন্ড করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ৷ জানা গিয়েছে, চালক সতর্ক না হলে এবং ট্রেনে গতি কম না থাকলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত ৷
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভদ্রক থেকে বালাসোরগামী মেমু ট্রেন নীলগিরি রোড স্টেশন ছেড়ে বেরনোর পরেই ঘটনাটি ঘটে ৷ স্টেশন ছেড়ে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যে মেমু ট্রেনটি হঠাৎই লুপ লাইনে ঢুকে যায় ৷ কিন্তু, তার সোজা যাওয়ার কথা ছিল ৷ কোনও গণ্ডগোল হয়েছে বুঝতে পেরে, চালক দ্রুত এমার্জেন্সি ব্রেক চাপেন ৷ যার ফলে ট্রেন লুপলাইনে বেশিদূর এগোতে পারেনি ৷ জানা গিয়েছে, লুপলাইনে কাজ চলছিল ৷ সেখানে রেলের ডি-গ্রুপের অসংখ্য কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন ৷ ফলে সঠিক সময়ে এমার্জেন্সি ব্রেক না কষলে প্রাণহানি নিশ্চিত ছিল ৷
এই ঘটনায় নীলগিরি রোড স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এবং পয়েন্টসম্যানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আওতায় হওয়ায়, সেখানকার দায়িত্বে থাকা উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা প্রাথমিক তদন্তের পর স্টেশন-ম্যানেজার এবং পয়েন্টসম্যানকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ সাসপেন্ড হওয়া স্টেশন-ম্যানেজারের নাম সুভাষ শেঠি এবং পয়েন্টসম্যানের নাম শেখ মহম্মদ খালিপ ৷
আরও পড়ুন:ইঞ্জিন থেকে আলাদা হল 10 কামরা, ডালখোলায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল লোহিত এক্সপ্রেস
কিন্তু, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ? দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের অন্তর্গত ওই নীলগিরি রোড স্টেশনের পয়েন্টসম্যান এবং স্টেশন ম্যানেজারের অসতর্কতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ অভিযোগ পয়েন্টসম্যান রেললাইনের পয়েন্ট লুপলাইনে করে দিয়েছিল ৷ যার জেরে ট্রেন বালাসোর স্টেশনের রুটে সোজা যাওয়ার বদলে লুপলাইনে চলে যায় ৷ কিন্তু, সেই সময় লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় ট্রেনের গতি 7-8 কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় ছিল ৷ ফলে লুপলাইনে ট্রেন ঢুকতেই এমার্জেন্সি ব্রেক চাপেন চালক ৷ পরে ট্রেন রিভার্সে নিয়ে চালক মেমু ট্রেনটিকে নিয়ে ফের গন্তব্যের দিকে রওনা দেন ৷