মেরঠ, 20 ফেব্রুয়ারি: গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের এক যুগলের (UP Couple Shot Dead)৷ গুলি কে চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ এটি অনার কিলিং নাকি আত্মহত্যার ঘটনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত প্রেমিক-প্রেমিকা: 19 বছরের এক তরুণের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে (Family catches girl with boy friend kills them)৷ তাঁর প্রেমিকাও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে জখম হন ৷ পরে তাঁরও মৃত্যু হয় ৷ উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার ঘটনা ৷ রবিবার মেয়েটির পরিবার তাঁদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলার পরই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরা ৷ মৃতেরা হলেন সাক্ষী (19) এবং তাঁর প্রেমিক শুভম (19) ৷ দুজনেই মেরঠের পেপলা গ্রামের বাসিন্দা ৷
মেয়েটির পরিবারের দিকে আঙুল প্রতিবেশীদের: মেয়েটির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে, ঘটনার সময় মেয়েটির বাড়িতে এই প্রেমিক যুগল ছাড়া আর কেউ ছিলেন না ৷ পুলিশ জানিয়েছে, দুজনেই গুলিবিদ্ধ হন । ছেলেটিকে মাথায় গুলি করা হয়, আর তরুণীর বুকে গুলি লাগে ৷ পুলিশ জানিয়েছে যে, মেয়েটির পরিবার বাড়ির বাইরে ছিল এবং তারা পরপর গুলির শব্দ শুনতে পায় ৷ তারপরেই সবাই বাড়ির ভেতরে যান বলে জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে ৷
তারা বলেছে, ভেতরে ঢুকে ঘরের সোফা, বিছানা, দেওয়াল ও টেবিলে রক্তের দাগ দেখতে পায় তারা । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তরুণের ৷ তরুণীর শরীরে তখনও প্রাণ ছিল ৷ তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুভারতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷
স্কুল জীবন থেকে পরিচয় যুগলের: প্রতিবেশীদের মতে, তরুণ যুগলের বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ অবস্থার ভিডিয়ো তাঁদের মোবাইলে ছিল । মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পারাই হত্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা ৷ স্কুল জীবন থেকে একে-অপরকে চিনতেন এই তরুণ ও তরুণী ৷ গত দুই বছরে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় ৷ বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা ৷
আরও পড়ুন:স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে দেহের টুকরো ফ্রিজে রাখলেন মহিলা, তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশের
অনার কিলিং নাকি আত্মহত্যা - তার তদন্ত শুরু: মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছে জানি থানার পুলিশ ৷ কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয় । পুলিশ ঘটনাটি উভয় দিক থেকেই তদন্ত করছে ৷ এটি অনার কিলিং নাকি আত্মহত্যার ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
মেরঠের সিনিয়র পুলিশ সুপার রোহিত সিং সাজওয়ান বলেছেন, গুলিবিদ্ধ যুগলকে তরুণীর বাড়িতে একটি ঘরের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে । যুবকের মাথায় গুলির আঘাত ছিল এবং মেয়েটির বুকে গুলি লেগেছে । তরুণীর আত্মীয় স্বজনেরা জানিয়েছেন, মেয়েটি বেঁচে ছিল । আহত তরুণীকে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবার শুভরতী হাসপাতালে নিয়ে যান ।
তরুণীর বাবা ও ভাই আটক: ওই আধিকারিক বলেন, তাঁরা ঘটনাটি সব দিক দিয়ে খতিয়ে দেখছেন । বন্দুক কার হাতে ছিল তার খোঁজে যাবতীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে । উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যালিস্টিক পরীক্ষাও করা হবে, যাতে কত দূর থেকে গুলি চালানো হয়েছিল তা বোঝা যায় ৷ এসএসপি জানিয়েছেন, "ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে । এটি অনার কিলিং-এর ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না ৷ আমরা মেয়েটির বাবা ও তাঁর ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি । (নিহত) দুজনই একই জাতের এবং সমবয়সি ছিলেন ।"