তিরুঅনন্তপুরম, 7 ডিসেম্বর: চিকিৎসক প্রেমিকের পরিবার পণ হিসেবে চেয়েছিল 150 ভরি সোনা, 15 একর জমি ও একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি ৷ যা দেওয়ার মতো সামর্থ্য চিকিৎসক প্রেমিকার পরিবারের ছিল না ৷ পণ দিতে না-পারার জন্য সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলেন প্রেমিক ৷ বিষয়টি মেনে নিতে না-পেরে আত্মহত্যা করলেন প্রেমিকা ডাঃ শাহানা ৷ যিনি কেরলের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের স্নাতকোত্তরের চিকিৎসক ৷
পেশায় চিকিৎসক কোল্লামের বাসিন্দা ডাঃ ইএ রুইস ছিলেন শাহানার প্রেমিক ৷ এই ঘটনায় রুইসকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেরল পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার ভোরে করুণাগাপ্পল্লিতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেডিক্যাল কলেজ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, শাহানা ও রুইস দুজনের পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ের পরিকল্পনা এগোয় ৷ পরে রুইসের পরিবার মোটা অংকের পণ চেয়ে বসে ৷ শাহানার পরিবার জানিয়েছে, 150 ভরি সোনা, 15 একর জমি ও একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি পণ হিসেবে চেয়েছিল রুইসের পরিবার ৷ যা ছিল তাদের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে ৷ বিষয়টি জানতে পেরে রুইসও বিয়ে থেকে সরে আসে ৷ আর তাতেই বিয়ে ভেঙে যায় ৷
এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি শাহানা ৷ অ্যাপার্টমেন্টে তাঁকে অচেতন অবস্থা পাওয়া যায় ৷ সঙ্গে ছিল কিছু খালি শিশি ৷ উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও ৷ সেখানে সরাসরি পণ নেওয়ার অভিযোগ না-থাকলেও পরোক্ষভাবে তা যে সেদিকেই ইঙ্গিত করছে তা বুঝতে পেরেছেন সবাই ৷ সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, "সবাই টাকা চায় ৷ সবচেয়ে বড় জিনিস হল টাকা ৷"
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ শাহানার পরিবারের বক্তব্যের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও পণ নেওয়া অপরাধ আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে ৷ কেরল পোস্ট গ্র্যাজুয়েটস অ্যাসোসিয়েশনের (কেএমপিজিএ) রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন রুইস ৷ এই ঘটনার পর তাঁকে সেই সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জও শাহানার মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷