আগ্রা, 7 জানুয়ারি: অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা ৷ এশিয়ার বৃহত্তম সোনার বাজারে মাতা জানকীর (সীতা) জন্য তৈরি হচ্ছে রূপোর নূপুর ৷ ময়ূরের কল্কায় তৈরি এই নূপুর 22 জানুয়ারি রামমন্দিরে অবস্থিত মাতা জানকীর চরণে দেখা যাবে ৷ বিশেষত্ব হল এই নূপুর তৈরি করছেন মুসলিম কারিগররা ৷ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তাঁরা এই নূপুর অযোধ্যায় নিয়ে যাবেন ।
22 জানুয়ারি অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের পর রামলালার অভিষেক হওয়ার কথা ৷ সেই কারণে ভগবান রামের মামারবাড়ি ছত্তিশগড় থেকে 3 হাজার কুইন্টাল চাল আসছে ৷ নেপালের জনকপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে আসছে জামাকাপড়, ফল, বাদাম ও উপহার ৷ ইটা থেকে 2100 কেজির ঘণ্টা ৷ এছাড়াও গুজরাতের ভাদোদরা থেকে পৌঁছবে 108 ফুট লম্বা ধূপকাঠি ৷ একই সময়ে, এশিয়ার বৃহত্তম স্বর্ণ বাজার আগ্রার কারিগররা তাদের প্রিয় শ্রী রাম এবং মাতা জানকীকে এই রূপোর নূপুর উপহার দেবেন । প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন এখানকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা অযোধ্যা যাবেন ।
এই প্রসঙ্গে আগ্রা স্বর্ণ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নীতেশ আগরওয়াল বলেন যে, "500 বছর পরে আমাদের প্রিয় রামলালা তাঁর বিশাল মন্দিরে বসবেন । এমন পরিস্থিতিতে সুলহকুল শহর আগ্রা থেকে মাতা জানকী এবং ভগবান শ্রী রামের জন্য রূপোর নূপুর তৈরি করা হচ্ছে । এখানকার মুসলিম কারিগররা এগুলো তৈরি করছেন । এর ওজন 551 গ্রাম ৷ এতে থাকবে মা সীতার প্রিয় ময়ূরের মূর্তি । মুসলিম কারিগররা 6 ইঞ্চি এই রূপোর নূপুরের গোড়ালির কাছে একটি বড় ময়ূরের মূর্তি খোদাই করেছেন । ময়ূরের পালকে তৈরি হয়েছে চক্র । এতে একটি মোটর আছে । দুটি চাকাই ওই মোটর দিয়ে ঘুরবে । এতে নুপূরের সৌন্দর্য আরও বাড়বে । এর দাম 40 হাজার টাকা । আগ্রা স্বর্ণব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এটি ভগবান শ্রী রামের কাছে উপহার হিসাবে হস্তান্তর করবে ।"
এই নূপুর তৈরি করা মনু প্রজাপতি জানান, তিনি 22 বছর ধরে নূপুর তৈরি করছেন । মাতা জানকীর জন্য নূপুর বানানোর সৌভাগ্য পেয়েছেন । এতটাই আনন্দিত তিনি যে, তাঁর মনে হচ্ছে 22 বছর আগে এই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । এতে ময়ূরের প্রতিকৃতি খোদাই করেছেন কারিগর ফাজিল আলি ।