গান্ধিনগর, 16 জুন: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের তাণ্ডবে অন্ততপক্ষে 22 জন জখম হয়েছেন ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ৷ এখনও পর্যন্ত 23টি পশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিতে কমপক্ষে 524টিরও বেশি গাছ উপড়েছে ৷ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের পোলগুলিও রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছে ৷ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, 940 টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৷
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় এখন প্রবল অর্থাৎ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ৷ আজ সেটি সাড়ে 5টার সময় সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের উপর অবস্থান করছিল ৷ গুজরাতের জাখাউ বন্দর থেকে 70 কিমি এবং নালিয়া থেকে 50 কিমি উত্তর-পূর্বে রয়েছে ৷ দুপুরের পর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে ৷ বিকেলে শক্তিক্ষয় করে নিম্নচাপে পরিণত হবে বিপর্যয় ৷ সেটি দক্ষিণ রাজস্থানের দিকে যাবে ৷
গতকাল বিপর্যয় আছড়ে পড়ার ফলে বহু ট্রেন বাতিল হয়েছে ৷ পশ্চিম রেল জানিয়েছে, বিপর্যয়ের ফলে গুজরাতে যাতায়াতকারী, বা সেখান থেকে ছাড়বে এমন প্রায় 99টি ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে ৷ আইএমডি-র এক আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে 6টা নাগাদ এই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ তা চলে মধ্যরাত পর্যন্ত ৷ 10 দিনেরও বেশি সময় ধরে এই ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরের উপর অবস্থান করছিল ৷