আমেদাবাদ, 27 নভেম্বর: অসময়ের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাতের কিছু অংশ। সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 20 জনে ৷ গুজরাতের বিভিন্ন জেলা থেকে এই মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই ত্রান পরিষেবা শুরু করবে স্থানীয় প্রশাসন ৷
স্টেট এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বজ্রপাতের কারণে 20 জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ৷ তিনি জানিয়েছেন দাহোদ জেলায় চারজন, ভারুচে তিনজন, তাপিতে দুইজন এবং আহমেদাবাদ, আমরেলি, বানাসকাঁথা, বোটাদ, খেদা, মেহসানা, পঞ্চমহল, সবরকাঁথা, সুরাট, সুরেন্দ্রনগর এবং দেবভূমি দ্বারকায় একজন করে মারা গেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার রাতে এক্স-এ একটি পোস্টে বলেন, "গুজরাতের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া এবং বজ্রপাতে বহু লোকের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। অপূরণীয় ক্ষতির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৷ আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে।"
মূলত, রবিবারই রাজ্যের এসইওসি কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বৃষ্টির কারণে 14 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ যার মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে দাহোদ জেলায় ৷ ইতিমধ্যেই গুজরাতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷
মৌসব ভবন জানিয়েছে, সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে ৷ এসইওসি-র তথ্য অনুসারে, গুজরাতের 252টি তালুকের মধ্যে 234টি জায়গায় রবিবার বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভরুচ এবং আমরেলি জেলায় 16 ঘণ্টার মধ্যে 50-117 মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করেছে। অন্যদিকে, অসময় বৃষ্টির কারণে গুজরাতের বিভিন্ন অংশে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি একাধিক কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে ৷ প্রায় 39টি পশু মারা যাওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে ৷