ইম্ফল (মণিপুর), 6 মে: গত 3 মে মণিপুরে নাগা ও কুকি আদিবাসীদের দ্বারা একটি উপজাতি সংহতি যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই যাত্রাই হিংসাত্মক আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ ৷ তারা ওই অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল বলেই হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ পরিস্থিতি সামলাতে ওই রাজ্যের প্রশাসনের তরফে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ বেশ কিছু জায়গায় 144 ধারাও জারি করা হয় ৷
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত 54 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে ওই রাজ্যে সেনা ও আধাসেনা নামানো হয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 9 হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এই নিয়ে ইটিভি ভারতকে উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের বিশিষ্ট নাগরিক অধিকার কর্মী ইরোম শর্মিলা চানু বলেন, ‘‘মণিপুর রাজ্য একটি জটিল জনসংখ্যাগত ও জাতিগত সমস্যায় ভুগছে ৷ 1947 সালে ভূমি সংস্কার আইনের সঙ্গেই এই সমস্যা তৈরি হয় ৷ যা অব্যাহত রয়েছে । আর এটা হিংসা ও দুর্ভোগের দিকে যাচ্ছে ৷’’
মণিপুরের লৌহমানবী শর্মিলা আরও বলেন, ‘‘ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা জনগণের সঙ্গে পরামর্শ না করে এবং তাদের অনুভূতি বিবেচনায় না নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় । সেই জন্য মানুষ কষ্ট পাচ্ছে আর রাজ্য পুড়ছে । কেন্দ্রের নেতাদের মণিপুরে এসে প্রকৃত অবস্থা দেখা উচিত ৷’’
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী কি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে ? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আরও সেনা পাঠানো হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে না । ওই রাজ্য বাহিনীতে ঠাসা এবং আরও সেনা মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করবে । নেতাদের পার্বত্য ও উপত্যকার মানুষের অনুভূতি বোঝা উচিত । তাদের মূল সমস্যাটি সমাধান করতে হবে । জনগণের সমস্যার সমাধান না হলে হিংসা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব ৷’’