তেজপুর, 2 নভেম্বর:মোরেহতে 32 জন মায়ানমারের অভিবাসীকে গ্রেফতার করল মণিপুর পুলিশ ৷ বুধবার মণিপুরে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বিশেষ অভিযান চালানো হয় ৷ সেই অভিযানেই এঁদেরকে গ্রেফতার করে মণিপুরের পুলিশ আধিকারিকরা ৷ ধৃতদের মধ্যে 10 জন অভিবাসীকে আরও তদন্তের জন্য হেলিকপ্টারে করে ইম্ফলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ বাকি 22 জনকে মোরেহ থানায় রাখা হয়েছে ৷ মণিপুর পুলিশের এক আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন ।
সূত্রের খবর, মোরেহ মহকুমা পুলিশ অফিসার সিংথাম আনন্দ কুমারকে হত্যার পরেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে মণিপুর পুলিশ । বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে ৷ মঙ্গলবার সকালে মোরেহর একটি হেলিপ্যাড পরিষ্কারের কাজের তদারকি করছিলেন আনন্দ কুমার ৷ সেসময় তাঁকে গুলি করা হয় ৷ তাতেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ আধিকারিকের ৷ এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মণিপুর পুলিশের একটি দল বুধবার দুপুর 2টোর দিকে মোরেহ পৌঁছয় ৷ তারা মোরেহ মর্নিং মার্কেট কলোনি এবং আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ।
স্পেশাল পুলিশ কমান্ডো, ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন এবং অসম রাইফেলস-সহ জয়েন্ট সিকিওরিটি ফোর্স ধারাবাহিক অভিযান চালায় ৷ তারা এই অভিযানে প্রায় 44 জন কুকিকে গ্রেফতার করেছে । ধৃত 44 কুকির মধ্যে 32 জন মায়ানমারের বংশোদ্ভূত বলে জানা গিয়েছে । মণিপুর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাঁরা কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মোরেহ শহরে প্রবেশ করেছিল । নিরাপত্তা বাহিনী ধৃত মায়ানমার অভিবাসীদের মধ্যে 10 জনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলিকপ্টারে করে ইম্ফলে নিয়ে যায় । তাঁদের বর্তমানে ইম্ফল পূর্ব জেলার সাজিওয়া এলাকায় বিদেশি আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে । পুলিশ সূত্র জানায়, মায়ানমারের অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন:কুকি অধ্যুষিত মোরেহ-তে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এসডিপিও
মঙ্গলবার মোরেহতে জঙ্গিদের দুটি পৃথক হামলায় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) নিহত হয়েছেন এবং তিনজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন । অন্যদিকে আইজি (জোন 1) থেমথিং এনগাসাংভা এবং ডিআইজি (রেঞ্জ II) যোগেশচন্দ্র হাওবিজামের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দলকে মোরেহতে পাঠানো হচ্ছিল ৷ তাদের উপর ইম্ফল-মোরেহ হাইওয়েতে আক্রমণ করা হয় ৷ এই ঘটনায় তিনজন রাজ্য পুলিশ কর্মী আহত হন । পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের পায়ে আঘাত লেগেছে ৷ তবে তাঁদের অবস্থা আশংকাজনক নয় ।