ইম্ফল, 27 জুন: কাজ না করলে টাকা দেবে না মণিপুর সরকার ৷ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ৷ গত মে মাসের প্রথম দিক থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনায় জ্বলছে মণিপুর ৷ এর ফলে বহু সরকারি কর্মী অফিসে হাজিরা দিচ্ছেন না ৷ সেই সব কর্মীদের জন্য এহেন ব্যবস্থা ৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে শান্তি কমিটিও তৈরি হয়েছে ৷ তারপরও অবস্থার বদল হয়নি ৷ মেইটি ও কুকি জনজাতির মধ্যে হিংসার ঘটনার খবর আসছে ৷ এর মধ্যে দিনের পর দিন ধরে অনেক সরকারি কর্মী সরকারি কার্যালয়ে আসছেন না ৷ সেই সব সরকারি কর্মীদের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করতে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বা জিএডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হোক, কেন্দ্রকে প্রস্তাব তৃণমূলের
সোমবার রাতে জিএডি সচিব মাইকেল আচম একটি সার্কুলার জারি করেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "12 জুন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছে ৷ সব কর্মচারী তাঁদের বেতন পাচ্ছেন ৷ মণিপুর সেক্রেটারিয়েটের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টকে জানানো হয়েছে, বহু কর্মী অফিসে আসছেন না ৷ যথোপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে অনেকেই হাজিরা দিচ্ছেন না ৷ তাঁদের জন্য কাজ না করলে টাকা না দেওয়ার নীতি কার্যকর করতে হবে ৷" উল্লেখ্য মণিপুরে সরকারি কর্মীর সংখ্যা 1 লক্ষ ৷
এই সার্কুলারে সব প্রশাসনিক সচিবালয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যে সব কর্মী অফিসে আসছেন না, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে ৷ সেখানে কর্মীদের পদ, নাম, ইআইএন নম্বর, বর্তমান ঠিকানা জানাতে হবে জিএডি এবং নিরাপত্তা দফতরের কাছে ৷ 28 জুনের মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ করে জমা দিতে হবে, যাতে অনুপস্থিত কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় ৷
আরও পড়ুন: সেনাকে ঘিরে ধরল স্থানীয়রা, জঙ্গিদের গ্রেফতারের পরেও ছাড়তে বাধ্য হল স্পিয়ার কর্পস
3 মে থেকে হিংসার ঘটনায় জ্বলছে মণিপুর ৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে মেইটি ও কুকি জনজাতির মধ্যে হিংসার ঘটনায় একশোরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ৷ মেইটি সম্প্রদায় তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছিল ৷ তার বিরুদ্ধে একটি মিছিল করে কুকি জনগোষ্ঠী ৷ সেই মিছিলকে ঘিরেই অশান্তি শুরু ৷ মণিপুরে জনসংখ্যার 53 শতাংশ মেইটি এবং তাঁরা বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন ৷ নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের হার 40 শতাংশ ৷ তারা প্রধানত পাহাড়ে বসবাস করে ৷