নয়াদিল্লি, 20 অক্টোবর: নিঠারি হত্যা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হওয়া মনিন্দর সিং পান্ধের শুক্রবার সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন। প্রমাণের অভাবে গত 16 অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে নিঠারি হত্যা-কাণ্ডে 2টি মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত ৷ সেই রায় খারিজ করে প্রমাণের অভাবে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় ৷ আদালতের নির্দেশের প্রায় তিন দিন পর, রায়ের কপি গ্রেটার নয়ডার লুকসর সংশোধনাগারে পৌঁছায় ৷ সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে, আজ মুক্তি পেলেন মনিন্দর সিং পান্ধের ৷ গ্রেটার নয়ডার লুকসর জেলে যাওয়ার আগে মনিন্দর সিং পান্ধেরকে গাজিয়াবাদের দাসনা জেলে রাখা হয়েছিল ৷
উল্লেখ্য, 2005-06 সালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মনিন্দর সিং 13 বছর 8 মাস 2 দিন সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন ৷ পান্ধের 13 ডিসেম্বর 2007 সালে গাজিয়াবাদ জেলে যান ৷ সেখানেই 13 বছরের বেশি সময় কাটিয়েছিলেন ৷ এর পর গত 4 জুন, 2023 সালে গ্রেটার নয়ডার লুকসর সংশোধনাগারে তাঁকে স্থানান্তরীত করা হয় ৷ পান্ধেরর বিরুদ্ধে থাকা সব মামলাতেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস করেছে ৷
নিঠারি হত্যা-কাণ্ড কবে ,কীভাবে ?
31 অক্টোবর 2006-এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ৷ যখন নিঠারির ডি5-এর সাফাই কর্মী মহিলা তাঁর বাড়িতে বলে বেরিয়েছিলেন তিনি সুরিন্দর সিং কোহলির কথায় কোঠি ডি5-এ কাজ করতে যাচ্ছেন ৷ এর পর আর ওই সাফাই কর্মী মহিলা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি ৷ ওই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ 2006 সালের 24 ডিসেম্বর কোঠি ডি5-এর পিছনের নর্দমা থেকে মানুষের 16টি খুলি উদ্ধার করে ৷ তদন্তের পর ফরেন্সিকের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, খুলিগুলির মধ্যে একটি 31 অক্টোবর ডি5-এ কাজ করতে যাওয়া ওই সাফাই কর্মী মহিলার ৷
আরও পড়ুন:নিঠারি হত্যা মামলায় 2 ফাঁসির আসামি বেকসুর খালাস এলাহাবাদ হাইকোর্টে
এর পর তদন্তে ওই বছরই 29 ডিসেম্বর অভিযুক্ত সুরেন্দ্র কোহলি বাড়ির পিছনের অংশ থেকে অনেক জিনিসপত্রও উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা ৷ সেখামে জামাকাপড়, চপ্পল, জুতো-সহ নানান সামগ্রী পাওয়া গিয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে এই মামলার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে যায় ৷ তদন্ত ও শুনানি শেষে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রামচন্দ্র, অভিযুক্ত সুরিন্দর সিং কোহলি এবং মনিন্দর সিং পান্ধেরকে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷ আর 13 ফেব্রুয়ারি 2009 সালে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন ৷ যা গত 16 অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাতিল করেছে ৷ সুরিন্দর সিং কোহলির বিরুদ্ধে থাকা 12 টি মামলাই খারিজ হয়ে গিয়েছে ৷