নয়াদিল্লি, 29 অগস্ট: স্ত্রী, শিশুকন্যা ও শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ মেরে ঘায়েল করলেন এক যুবক (Man Stabs Family Members) ৷ রবিবারের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব দিল্লির (East Delhi) ময়ূর বিহার (Mayur Vihar) এলাকায় ৷ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আহত তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম সিদ্ধার্থ ৷ তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার (37) ৷ গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি সংস্থায় ভালো পদে চাকরি করেন ওই যুবক ৷ পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপ জানিয়েছেন, নিজের বৈবাহিক জীবন নিয়ে একটুও সুখী নন সিদ্ধার্থ ৷ পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগে থাকে ৷ তার জেরেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ প্রশাসন ৷
আরও পড়ুন:উত্তরপ্রদেশে বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ, আশঙ্কাজনক 7
প্রিয়াঙ্কা জানান, রবিবার একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিবারের বাকি তিন সদস্যের উপর হামলা চালান সিদ্ধার্থ ৷ তাতে গুরুতর জখম হন তাঁর স্ত্রী অদিতি শর্মা (37) ও শাশুড়ি মায়া দেবী (60) ৷ এমনকী, নিজের 8 বছরের সন্তানকেও রেহাই দেননি সিদ্ধার্থ ৷ ওই বালিকাকেও অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে ! ঘটনার পরই অদিতি এবং তাঁর মা ও মেয়েকে স্থানীয় ধর্মশিলা নারায়ণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই তিনজনের চিকিৎসা চলছে ৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সিদ্ধার্থ ও অদিতির বিবাদ ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে ৷ সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি ও পরিবার আদালতে এ নিয়ে মামলাও রুজু করা হয়েছে ৷ আদালতের সেই লড়াইয়ের মধ্য়েই রবিবার দুই পক্ষের অশান্তি চরমে ওঠে ৷ তার জেরেই এই হামলা বলে মনে করছে পুলিশ ৷
তবে, কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে একজন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ৷ পুরো ঘটনা জানতে সিদ্ধার্থকে জেরা করতে চায় পুলিশ ৷ পাশাপাশি, অদিতি ও তাঁর বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে চায় তারা ৷ তবে, তার আগে তাঁদের দু'জনকে সুস্থ হতে হবে ৷ হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুমতি দিলে, একমাত্র তবেই আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে পুলিশ ৷