নয়াদিল্লি, 26 ফেব্রুয়ারি: স্ত্রী ও দুই ছেলেকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি (Man Kills Wife and Two Sons) ৷ নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল দিল্লির দ্বারকা জেলার ভিপিন গার্ডেন এলাকা ৷ ঘটনার পিছনে আর্থিক সমস্যাকে দায়ী করা হলেও অভিযুক্তের শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি, স্ত্রী-র কাছে নিয়মিত সম্পত্তির দাবি করত সে ৷ না-পাওয়ার কারণেই এই ঘটনা ৷
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজেশ ৷ জেরায় ধৃত জানিয়েছে প্রথমে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার পর দুই ছেলেকে হত্যা করে ৷ যার মধ্যে বড় ছেলের বয়স ছিল 5 বছর ও ছোট ছেলের চার মাস ৷ এরপর নিজের কবজির শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিজে ৷ সকলকেই ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ৷ মৃতরা হলেন সুনীতা (35), আয়ানশ (5) ও চার মাস বয়সি অময় ৷ অভিযুক্তকে গ্লাভস পরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ 2015 সালে রাজেশের সঙ্গে সুনীতার বিয়ে হয় ৷ প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল ৷ কিন্তু তারপর থেকেই রাজেশ প্রায়ই সুনীতির কাছে সম্পত্তি দাবি করত এবং এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে তর্ক লেগেই থাকত ৷ তার জেরেই এই খুন বলে সুনীতার পরিবারেরে দাবি ৷
দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) এম হর্ষবর্ধন বলেন, "সকাল ছ'টার দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে ৷ সেই ফোনেই জানতে পারি রাজেশ স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যা করে নিজের কবজির শিরা কেটে ফেলেছে ৷ এই খবর পাওয়ার পরই আমরা সঙ্গে সঙ্গে মোহন গার্ডেন থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠাই ৷"
ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রাজেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দীনদয়াল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ৷ সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে ৷ জানা গিয়েছে, খুব ভোরে রাজেশ তাঁর বন্ধুদেরকে গুরুতর আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে একটি মেসেজ করেন ৷ এরপরই তাঁর বন্ধুরা রাজেশের ভাইকে বিষয়টি জানালে তিনিই সকাল ছ'টায় পুলিশকে ফোন করেন ৷ এই প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য, "আমরা জানতে পেরেছি স্কুলের বন্ধুদের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে অভিযুক্ত একটি মেসেজ পাঠান ৷ তারপরই থানায় ফোন করা হয় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ আছে দেখে তা ভেঙে ফেলা হয় ৷ এরপর ভিতরে ঢুকতেই তিনটি মৃতদেহ ও রাজেশকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই ৷ এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন :স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে দেহের টুকরো ফ্রিজে রাখলেন মহিলা, তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশের