লখনউ, 6 অক্টোবর: আবারও উত্তরপ্রদেশ, আবারও তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ (Rape And Murder) ৷ এবারের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মইনপুরি (Mainpuri) জেলার ভোগাঁও (Bhogaon) থানা এলাকায় ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক তরুণীকে ধর্ষণের পর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ওই অভিযুক্ত ৷
নিহত তরুণীর বয়স 19 বছর ৷ তিনি বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ৷ অভিযুক্ত যুবকের বয়স 25 বছরের আশপাশে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে আসা তথ্য বলছে, অভিযুক্ত এবং ওই তরুণী, দু'জনই ভোগাঁওয়ের বাসিন্দা ৷ বুধবার ওই তরুণীর বাবা-মা যখন বাড়িতে ছিলেন না, তখন যুবক সেই বাড়িতে ঢোকেন এবং তাঁকে ধর্ষণ করেন ৷ তারপর তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে চম্পট দেন অভিযুক্ত ৷ ঘটনা জানার পরই অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি ৷
আরও পড়ুন:অন্ধ্রে ধর্ষণ করে নৃশংস খুন 2 আদিবাসী মহিলাকে
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় তরুণীর বাবা শহরে গিয়েছিলেন ৷ তাঁর মা আগরায় গিয়েছিলেন কাজে ৷ সেই সময়েই তরুণীর উপর হামলা চালান অভিযুক্ত যুবক ৷ তরুণীকে ধর্ষণ করার পর তাঁকে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে বলা হয়, তিনি যেন বুধবারের ঘটনার কথা কাউকে না জানান ৷ কিন্তু, তরুণী এই কথা মানতে রাজি হননি ৷ আর সেই কারণেই ভয়ে ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অভিযুক্ত ৷ এরপর মেয়েটির দেহ তাঁর ঘরের মধ্যেই ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেন তিনি ৷ সবশেষে তরুণীর বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে চম্পট দেন ওই যুবক ৷
পরবর্তীতে ওই তরুণীর বোনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হন ৷ তাঁরা তরুণীর ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার করেন ৷ এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ সুপার কমলেশ দীক্ষিতও ৷ তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত ৷ ডগ স্কোয়াড এবং ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন ৷ পুলিশ কুকুরের সাহায্যে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয় ৷ তবে, গ্রামের কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি ৷
প্রসঙ্গত, দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয় ৷ কিছু দিন আগেও দুই দলিত বোনকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল যোগী রাজ্যে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল, প্রতিবেশী যুবকের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়াতেই ওই দুই কিশোরীর সঙ্গে এমন পৈশাচিক আচরণ করা হয় ৷