নয়াদিল্লি, 30 জুলাই :গত কয়েক দিনের দিল্লি সফর সেরে ‘নিজ ভূমে’ ফেরার আগে আবারও যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ রাজধানীর মাটিতে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে ৷ আর দেশ হল কাজ করার সবথেকে বড় জায়গা ৷’’
ভাষা সংযমী হলেও বার্তা অত্যন্ত তীব্র ৷ মমতা যে জননেত্রী, একথা নতুন করে বলার কিছু নেই ৷ তাঁর দলের মূল মন্ত্র ‘মা-মাটি-মানুষ’ ৷ শুধুমাত্র নেত্রী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা নয়, মমতার টিআরপি-র আসল রহস্য় মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে মানুষের কথা বলা ৷ যা এতদিন মূলত বাংলার রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকেই করে এসেছেন তিনি ৷ পেয়েছেন চূড়ান্ত সাফল্যও ৷ কিন্তু, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে সেই তিনিই যদি বলেন, ‘‘দেশ হল কাজ করার সবথেকে বড় জায়গা’’, তবে তার অর্থ অত্যন্ত গভীর ৷ অর্থাৎ, রাজ্য়ের গণ্ডী পেরিয়ে এবার জাতীয়স্তরেও সফল রাজনীতিক হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন ‘বাংলার মেয়ে’ ৷
আরও পড়ুন :Modi-Mamata : উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে মোদির সঙ্গে কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ মমতার ?
একুশের ভোটের প্রচার পর্বেই মমতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলা জয়ে হ্য়াটট্রিক সেরেই দিল্লিতে মনোনিবেশ করতে চান তিনি ৷ তাঁর সদ্য শেষ হওয়া দিল্লি সফরের মূল উদ্দেশ্যও ছিল মোদি তথা বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একজোট করা ৷ সেই মতো বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনাও সেরে ফেলেছেন মমতা ৷ শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে নিজেই জানিয়েছেন সেকথা ৷ এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমার শরদজির (শরদ পাওয়ার) সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ তিনি মুম্বই ফিরে গিয়েছেন ৷ তবে আমরা ফের মিটিং করব ৷’’ এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ছাড়াও মমতার বৈঠক যে আরও অনেকের সঙ্গেই হয়েছে, তাও লুকোননি তিনি ৷ তবে সকলের নাম প্রকাশ্যে আনেননি ৷ কিন্তু তাঁর এবারের দিল্লি সফরে তিনি যে খুশি, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা ৷ তাঁর কথায়, ‘‘ভিজিট সাকসেসফুল ৷...’’