কলকাতা, 29 মার্চ : গতকাল বিরল ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিধানসভা ৷ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কেরা ৷ যেই ঘটনায় নাক ফেটে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাসকদলের চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ৷ এই ঘটনার ‘নৃশংসতা’ জানিয়ে দেশের বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বকে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Writes letter to Oppositions) ৷
বিষয়টিকে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতে চাইছে বিজেপি ৷ ঠিক একইভাবে গেরুয়াশিবিরকে কোণঠাসা করতে মরিয়া তৃণমূলও ৷ ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে কীভাবে গণতন্ত্রের উপর হামলা চালানো হচ্ছে তাও চিঠিতে লিখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো । কাল থেকেই তৃণমূলের দাবি, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবেই ঘটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা । এবার তাঁদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বিজেপি বিরোধী শিবিরের অন্যতম প্রধান মুখ মমতাই ৷ তাঁর দাবি, যেভাবে সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করছে তার বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সময় এসেছে । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বারবার দিল্লি তলবকে যে তৃণমূল সুপ্রিমো ভাল চোখে দেখছেন না এই চিঠি তারই প্রমাণ । চিঠিতে সমস্ত বিজেপি বিরোধী নেতা এবং অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে বসার আর্জি জানিয়েছেন তিনি ৷ একইসঙ্গে ওই বৈঠকে দেশের বর্তমান অবস্থা, তা থেকে মুক্তির উপায় এবং উন্নততর সরকার গঠনের পথ কীভাবে পাওয়া যাবে তার রাস্তা খুঁজে বের করা হবে বলে তিনি ওই চিঠিতে লিখেছেন ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাঠানো সেই চিঠি আরও পড়ুন : BJP MLAs Meet Dhankhar : বিধানসভায় হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি
প্রসঙ্গত, 2019 লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সভা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে তাতে উপস্থিত ছিলেন এইচ ডি দেবেগৌড়া, শরদ পওয়ার, মল্লিকার্জুন খার্গে, এমকে স্ট্যালিন, অখিলেশ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো হেভিওয়েট বিজেপি বিরোধী মুখ ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছিল ‘মহাগঠবন্ধন’-এর ৷ যদিও নির্বাচনী ফলে দেখা যায়, সরকার গড়েছে সেই বিজেপি ৷ মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘মহাজোট’ ৷ সম্প্রতি অখিলেশের সমর্থনে মমতা প্রচার সারলেও সেখানে ফের সরকার গড়েছে যোগী আদিত্যনাথ ৷ ফলে, মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হলে তার ভবিতব্য় কী হয়, তাই দেখতে এখন ব্যাকুল রাজনৈতিক মহল ৷