কলকাতা, 3 জুন:তিন বারের রেলমন্ত্রী । ঝুলিতে অভিজ্ঞতা অনেকটাই বেশি । আর সেই অধিকারবলেই বর্তমান রেলমন্ত্রীকে পাশে দাঁড় করিয়ে বালাসোরের দুর্ঘটনা নিয়ে রীতিমতো রেলকে শাসন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে সেখানে বাধ্য ছাত্রের মতোই চুপ করে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনতেই দেখা গেল শনিবার । অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলতে শোনা গেল, "রেল আমার কাছে বাচ্চার মতো। আমি রেল পরিবারেরই একজন সদস্য ।" এর সঙ্গেই, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান রেলমন্ত্রী যদি কোনও পরামর্শ চান, তবে তিনি তা দিতে প্রস্তুত ।
শনিবার বালাসোরে করমণ্ডল এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । যেখানে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 288 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত প্রায় 1000 জন যাত্রী । এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । এরপর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তিনি বলেন, "এটা রাজনীতি করার সময় নয় ।" রেলওয়ে ক্ষতিপূরণ হিসাবে 10 লক্ষ টাকা যেমন দিচ্ছে, তেমনই রাজ্যের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী । এদিন মমতা বলেন, "কাজ সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত রেল এবং ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করবে আমাদের প্রশাসন ।"
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীকে পাশে দাঁড় করিয়ে রীতিমতো একের পর এক তোপ দাগেন মমতা । অ্যান্টি-কলিসন ডিভাইস কেন কাজ করেনি, কেন সেই ডিভাইস ব্যবহার করছে না রেল এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । এরই পাশাপাশি এক সময় দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়েও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে মতান্তরেও জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় মমতাকে । তিন বারের রেলমন্ত্রী বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, "আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, অ্যান্টি-কলিসন ডিভাইস চালু করেছিলাম । একই ট্র্যাকে একাধিক ট্রেন চলে এলে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে তারা সতর্ক হয়ে যাবে । আমি বলছি, এই ট্রেনে কোনও অ্যান্টি-কলিসন ডিভাইস ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োগ করে এই ঘটনা এড়ানো যেত ।"