বেঙ্গালুরু, 17 জুলাই: বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিমানে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ৷ দুপুর তিনটের পর থেকেই একে একে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা দক্ষিণের এই শহরে এসে পৌঁছতে শুরু করেন । বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আইটিসি হোটেলের দিকে রওনা হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার ৷ কংগ্রেসের সভাপতিত্বে এবার বিরোধীদের এই বৈঠক হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে ৷ যেখানে যোগ দেওয়ার কথা বিজেপি বিরোধী 26টি রাজনৈতিক দলের ৷ মমতার সঙ্গে এদিন বেঙ্গালুরু গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷
বেঙ্গালুরুর আইটিসি হোটেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে ৷ তবে মূল বৈঠক হবে তাজ হোটেলে ৷ হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর বৈঠকের স্থলে পৌঁছনোর কথা মমতার । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও, মমতার সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন । তবে এদিন কলকাতা ছাড়র সময় এবং বেঙ্গালুরু পৌঁছেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে এদিন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধির আমন্ত্রণে নৈশভোজে মমতা যোগ দেবেন কি না, তা স্পষ্ট হয়নি ৷ বিষয়টি নিয়ে জল্পনা চলছে ৷
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগেই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি । তার আগেই বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব । কর্মসূচি অনুযায়ী, বিকেলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক । যেহেতু পায়ে অস্ত্রোপচারের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশি চলাফেরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই তিনি হয়তো শেষ পর্যন্ত নৈশভোজে যোগ দেবেন না । তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের সময়ই মমতা এবং সোনিয়া মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা ।
এই দুই নেত্রীর মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর । সেই জায়গা থেকে এই বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখার । এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জোট বৈঠকে যোগদানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিজেপি নেতারা । এদিন এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর কথায়, এই রাজ্যকে জ্বালিয়ে দিয়ে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন মমতা ৷ যত এই চোরেরা একজোট হবে তত নরেন্দ্র মোদির পক্ষে সমর্থন বাড়বে বলেও তাঁর দাবি । এর পালটা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তথা বিধায়ক তাপস রায় ৷ তিনি জানান, আসলে বিরোধীদের একজোট হতে দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি । তাই এইসব কথা বলছেন বিজেপি নেতারা ।